লাদাখের ডেপসাং ইস্যুতে জেদ ধরে রাখছে বেজিং! ভারত-চিন বৈঠকের পর পরিস্থিতি কোনদিকে
শনিবারই হাইভোল্টেজ বৈঠকে লাদাখ ইস্যু নিয়ে পর্যালোচনা করতে চিন ও ভারত দুই দেশ বৈঠকে বসে। লাদাখ সংঘাতের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিশেষ এই সেনার কমান্ডার পর্যায়ের ১২ তম বৈঠকের পর দুই দেশই একটি যৌথ বিবৃতির দিকে এগিয়ে যায়। এদিকে, শোনা যাচ্ছে যে চুশুল-মালডো বৈঠকে ভারত ও চিনের কর্পস কমান্ডারদের মুখোমুখি বৈঠকের পরও জেদের মনোভাব ছেড়ে উঠতে পারেনি চিন। একনজরে দেখা যাক, কর্পস কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে লাদাখের বুকে কী ঘটছে।
বৈঠকে গোগরা ও হটস্প্রিং
প্রসঙ্গত, চুশুল ও মালডোর বৈঠকে গোগরা ও হটস্প্রিং ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়। প্রসঙ্গত সংঘাতের আবহে থাকা লাদাখে এই দুই এলাকা এখনও সেনার পাহাড়ামুক্ত নয়। এলাকায় দুই দেশের সেনাই একে অপরের দিকে শ্যেন দৃষ্টিতে কার্যত তাকিয়ে রয়েছে। সেই জায়গা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার আলোচনা এদিন হয়েছে বলে খবর।
যৌথ বিবৃতি
এদিন ভারত ও চিনের মধ্যে যে যৌথ বিবৃতি তুলে ধরা হয়, তাতে দেখা গিয়েছে, দুতরফেই জানিয়েছে যে অত্যন্ত খোলমেলা আলোচনা হয়েছে লাদাখ ইস্যুতে। মূলত ভারত ও চিনের কর্পস কমান্ডার পর্যায়ের সেনাস্তরীয় বৈঠকে লাদাখের বিভিন্ন জায়গা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে কথা হয়েছে। ডিসএনগেজমেন্ট ইস্যুই এই বৈঠকে বড় ভূমিকা পালন করেছে আলোচনার ক্ষেত্রে। প্রসঙ্গত, বহু দিন ধরেই চিনের গতিবিধি সন্দেহে রেখেথে দিল্লিকে। চিনের বুকে গড়ে ওঠা পরমাণু সম্পর্কী বিভিন্ন নির্মাণ কাজ ও সেদেশের উচ্চ এলাকায় তৈরি হওয়া বিমানবন্দরের নিচে আন্ডারগ্রাউন্ড পরিষেবা, রীতিমতো সন্দেহে রেখেছে দিল্লিকে।
চটজলদি সমাধান
এদিকে, ভারত ও চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান চটজলদিভাবে করা হবে বলে জানানো হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও বিভিন্ন নিয়ম মেনে এই সমস্যার সমাধান লাদাখের বুকে খুব শিঘ্রই হবে বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন সময় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে বলে জানানো হয়েছে দুই দেশের তরফে।
ডেপসাং নিয়ে নাছোড়বান্দা চিন
এদিকে এই হাইভোল্টেজ বৈঠকে ভরতের তরফে লাদাখের ডেমচক ও ডেপসাং নিয়ে প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হয়। দুই তরফের সেনা সংঘাতের মাঝে ডেপসাংকে ফ্রিকশন পয়েন্ট হিসাবে ধরে ডিসএনগেজমেন্টের পথে হাঁটতে চেয়েছে ভারত। তবে চিন ডেপসাং নিয়ে নিজের জেদে অটুট। তারা ভারতের বার্তার প্রেক্ষিতে কোনও সায় দেয়নি, বলে জানা গিয়েছে। আর সেই জেদেই পূর্ব লাদাখের বাকি এলাকা নিয়ে চিন কথা বলতে চায়নি।