শ্রমিক দরদী মমতাকে চেনা ছকে বিঁধলেন রেলমন্ত্রী গোয়েল! এবার শ্রমিক ট্রেন নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত
পরিযায়ী শ্রমিকদের ত্রাতা হিসাবে উঠে এসেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পরবর্তীকালে করোনার প্রবল দংশন রাজ্যে পড়তেই মমতার সেই পরিযায়ী শ্রমিক দরদী ভাবমূর্তি খানিকটা ক্ষুন্ন হয়। মহারাষ্ট্র সহ বেশ কিছু জায়গার শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে গড়িমসি শুরু হয় রাজ্য প্রশাসনের তরফে। এরপর যদিও ১০৫ টি ট্রেনকে বাংলায় আসতে অনুমতি দিয়েছেন মমতা। তবে এতেও কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত মিটছে না।
পীযূষ গোয়েলের তোপ
বাংলায় মমতা ১০৫ টি ট্রেনকে নতুন করে আসতে দিতে রাজি হয়েছেন ঘরে ফেরা মানুষের কথা ভেবে। এদিকে, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত প্রতিদিন ১০৫ টি করে ট্রেনকে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে দেওয়া।
রেলমন্ত্রীর বার্তা মমতাকে
' আমি আরও একবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আপিল করব যে, ৩০ দিনে ১০৫ টি ট্রেনকে চলতে না দিয়ে, দ.া করে প্রতিদিন ১০৫ টি করে ট্রেন চলার অনুমতি দিন। আমরা সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের পাঠাতে রাজি, যাঁরা যাঁরা ঘরে ফিরতে চান। ' বলে দাবি করেন রেলমন্ত্রী।
সরাসরি তোপ
রেলমন্ত্রী বলেন, 'আমার দুঃখ হয় যখন দেখি উত্তরপ্রদেশ ৪০০ টি ট্রেনকে ছাড় দিচ্ছে,বিহার ২০০ টিকে,তখন সেখানে পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্য উপযুক্ত পরিমাণ অনুমতি দিচ্ছেনা শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনের জন্য। '
মমতাকে সরাসরি তোপ
শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত অনেকটা পুরনো। ট্রেনের সংখ্যা নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে কেন্দ্রের রেল মন্ত্রকের ব্যাপক সংঘাত দেখা দেয়। সেই প্রেক্ষাপট কার্যত উস্কে দিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গ প্রথমে ২ টি ট্রেনের অনুমতি দেয়। তাও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ চিঠি লেখার পর। তারপর বলা হয় ৮ টি আরও ট্রেন চালু হবে।তিনি বলেন, 'আজ বিকল পর্যন্ত সেই ৮ টির মধ্যে ৫ টি ট্রেন গিয়েছে।'
সাগরে ফুঁসতে শুরু করেছে 'সাইক্লোন আম্ফান'! বিপর্যয় আছড়ে পড়ার 'সময়' জানিয়ে সতর্কতা জারি