বাড়ছে লোকসানের বোঝা! ৮০ জন পাইলটকে বেতনহীন ছুটিতে পাঠাল SpiceJet
৮০ জন পাইলটকে ছুটিতে পাঠাল দেশের অন্যতম বড় এয়ারলাইন্স সংস্থা SpiceJet। একেবারে তিন মাসের জন্যে পারিশ্রমিক ( Leave Without Pay) বিহীন ছুটিতে পাঠানো হয়েছে তাঁদের। ক্রমশ বাড়ছিল লোকসানের বোঝা। কার্যত সেদিকে তাকিয়েই এহেন বড়সড়
উৎসবের মরশুমে বড় ধাক্কা। ৮০ জন পাইলটকে ছুটিতে পাঠাল দেশের অন্যতম বড় এয়ারলাইন্স সংস্থা SpiceJet। একেবারে তিন মাসের জন্যে পারিশ্রমিক ( Leave Without Pay) বিহীন ছুটিতে পাঠানো হয়েছে তাঁদের। ক্রমশ বাড়ছিল লোকসানের বোঝা। কার্যত সেদিকে তাকিয়েই এহেন বড়সড় সিদ্ধান্ত সংস্থার তরফে নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
গত চারবছর ধরে ক্রমশ লোকসানের বোঝা বাড়ছিল। পরিস্থিতি সামলাতেই ৮০ জন পাইলটকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
৫০ শতাংশেরও কম ফ্লাইট চালাচ্ছে।
ডিজিসিএর নির্দেশ অনুযায়ী, গত জুলাই মাস থেকে এয়ারলাইন্স ৫০ শতাংশেরও কম ফ্লাইট চালাচ্ছে। তাতে লোকসানের বোঝা আরও বাড়ছে বলেই জানাচ্ছে সংস্থা। স্পাইসজেটের কাছে এই মুহূর্তে ৯০টি ফ্লাইট আছে। বর্তমানে মাত্র ৫০টি বিমান প্রত্যেকদিন চলাচল করছে। খবরে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, স্পাইসজেট B737-এয়ারক্রাফটের ৪০ জন এবং Q400-এর ৪০ জন পাইলটকে তিন মাসের জন্যে ছুটিতে পাঠিয়েছে। আর তিন মাস পাইলটদের কোনও বেতন সংস্থা দেবে না। তাৎক্ষণিকভাবে ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে বিমান সংস্থা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাইলটদের সমস্যা এতে বাড়বে
এর ফলে চাপ সংস্থার কমলেও ছুটিতে যাওয়া পাইলটদের সমস্যা এতে বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে উৎসবের মরশুমে নিঃসন্দেহে চাপ বাড়বে। স্পাইসজেট জানাচ্ছে, ২০১৯ সালে B737 MAX এর গ্রাউন্ডিয়ের পর অন্তত ৩০ টি এয়ারক্র্যাফট নিয়ে আসা হয়েছিল। এয়ারলাইন্স B77 MAX আবার একদিন আকাশে উড়বে ভেবে নিয়েই একাধিক পাইলট নিয়োগ করেছিল। কিন্তু B737 MAX -এর একের পর এক এয়ারক্র্যাফট বসে যাওয়ার কারণে পাইলটের সংখ্যা সংস্থার কাছে বেড়ে যায়। ফলে ক্রমশ খরচ বাড়তে শুরু করে। আর সেদিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিতে সংস্থা একপ্রকাশ বাধ্য হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
কোনও কর্মীকে ছাঁটাই করে না
কিন্তু কোম্পানি কোনও দিনই কোনও কর্মীকে ছাঁটাই করে না। এটা সংস্থার নীতিতেই আছে। এমনকি মহামারীর সময়েও কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে দাবি স্পাইসজেটের। সংস্থা জানাচ্ছে, খুব শীঘ্রই MAX এয়ারক্র্যাফটগুলি আকাশে উড়বে। আর এরপরেই ছুটিতে যাওয়া সমস্ত পাইলটকে কাজে ফেরত নিয়ে আসা হবে। SpiceJet 2021-22 সালে 1725 কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, যা 2020-21 সালে ছিল 998 কোটি টাকা। ফলে সংস্থার পক্ষে ভার নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেই জানানো হয়েছে।
চালেঞ্জের মুখে ফেলেছে সংস্থাকে।
গত কয়েকমাসে একের পর এক ঘটনা ঘটেছে। স্পাইসজেটের বিমানে একাধিক ত্রুটি সামনে এসেছে। যা বিমানগুলির মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়। এমনকি মাঝ আকাশে যাত্রী নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ে। এমনই বেশ কিছু ঘটনা বিশ্লেষণ করে ডিজিসিএ। আর এরপরেই বেশ কিছু বিমান বসিয়ে দেওয়ার জন্যে স্পাইস জেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়। আর তাতেই সংস্থার উপর চাপ বেড়েছে। আর এর মধ্যে বেড়েছে জ্বালানির দাম। যা আরও চালেঞ্জের মুখে ফেলেছে সংস্থাকে।