স্যান্ডউইচ চাই-ই চাই! পাইলটের বায়নাক্কায় দেরিতে উড়ল বিমান
বিমান ওড়ার মুখে গোঁ ধরে বসলেন পাইলট। হয় স্যান্ডউইচ দাও, নইলে বিমান উড়বে না। অগত্যা আবদার মোতাবেক সেই খাবার এল, তিনি খেলেন, ঢেকুর তুললেন। তবে বিমান উড়ল!
উড়ান নম্বর পি কে-৭১১। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) উড়ান। লাহোর থেকে ম্যাঞ্চেস্টার হয়ে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার কথা ছিল। ওড়ার নির্ঘণ্ট ছিল সকাল পৌনে সাতটায়।
বিমান
ছাড়ার
আগে
প্রাতঃরাশ
করতে
বসে
রেগে
কাঁই
পাইলট
ক্যাপ্টেন
নৌশাদ।
চিপস,
বাদাম
আর
বিস্কুট!
এই
দিয়ে
কি
পেট
ভরে?
চিৎকার
শুরু
করে
দেন
তিনি।
গোঁ
ধরেন,
স্যান্ডউইচ
দিতে
হবে।
ক্যাটারিং
বিভাগের
কর্মীরা
জানান,
স্যান্ডউইচ
দেওয়ার
নিয়ম
নেই।
পাইলট
পাল্ট
প্রশ্ন
করেন,
২৫
নভেম্বরের
আগে
তো
স্যান্ডউইচ
পাওয়া
যেত।
জবাব
মেলে,
এখন
খরচ
বাঁচাতে
খাবার-দাবারে
রাশ
টানা
হয়েছে।
ফলে,
স্যান্ডউইচ
নৈব
নৈব
চ!
ব্যস!
আগুনে
ঘি
পড়ে।
ক্যাপ্টেন
নৌশাদ
সাফ
জানিয়ে
দেন,
স্যান্ডউইচ
না
পেলে
বিমান
উড়বে
না।
যা
খুশি
করে
নাও।
আচ্ছা জ্বালা! এবার ক্যাটারিং বিভাগের দাদারা এসে ওঁকে বোঝান, ভালো হোটেল থেকে স্যান্ডউইচ অর্ডার করে এনে তা খেয়ে বিমান ছাড়তে ছাড়তে অন্তত দু'ঘণ্টা লাগবে। পেটুক পাইলটের পাল্টা জবাব, তা লাগে লাগুক! কিন্তু, স্যান্ডউইচ চাই-ই চাই।
যোগাযোগ করা হয় পিআইএ-র সদর দফতরে। করাচিতে। সব ঘটনা জেনে সদর দফতর উত্তর পাঠায়, এক্ষুণি স্যান্ডউইচের ব্যবস্থা করুন। হাতে অতিরিক্ত পাইলট নেই। তাই বিমান না ওড়ার থেকে দেরিতে উড়লেও অন্তত মুখরক্ষা হবে।
শেষ পর্যন্ত আনাতেই হয় স্যান্ডউইচ। তৃপ্তি করে খেয়ে ককপিটে ঢোকেন ওই পাইলট। নির্ধারিত সময়ের থেকে আড়াই ঘণ্টা দেরিতে, সকাল সওয়া ন'টায় আকাশে ওড়ে পি কে-৭১১। স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়ে বিমান কর্তৃপক্ষের।
বিমান ছাড়ার পর পিআইএ-র মুখপাত্র মাসুদ তাজওয়ার বলেন, পাকিস্তানে ফিরে আসা মাত্র ক্যাপ্টেন নৌশাদকে শো-কজ করা হবে। ইতিমধ্যে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।