পশ্চিমবঙ্গে রাজস্থানের তীর্থযাত্রীদের ওপর হামলা ও হুমকির অভিযোগ
গঙ্গাসাগরে রাজস্থানের তীর্থযাত্রীদের মারধরের অভিযোগ। সেইস্থান ত্যাগ করতে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ তীর্থযাত্রীদের। বলা হয়, এটা ভারত নয়,বাংলাদেশ। তখনই সেই জায়গা ত্যাগ করার জন্য হুমকি দেওয়া হয়।
গঙ্গাসাগরে রাজস্থানের তীর্থযাত্রীদের মারধরের অভিযোগ। সেইস্থান ত্যাগ করতে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ তীর্থযাত্রীদের। বলা হয়, এটা ভারত নয়, বাংলাদেশ। তখনই সেই জায়গা ত্যাগ না করলে কোপানোর হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
চাঁপাবেড়িয়ায় এই হুমকি ও হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতায় ফেরার পর তীর্থযাত্রীরা অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা গিয়েছে। রাজস্থানের তীর্থযাত্রীদের দলে অনেক মহিলা সদস্যও ছিলেন।
অভিযোগ, তীর্থযাত্রীদের পর পর তিনটি বাস বদল করতে বলা হয়। সেখানেই সন্দেহ হয় তীর্থযাত্রীদের। কচুবেড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে পুলিশ ছিল না বলেও অভিযোগ উঠেছে।
গঙ্গাসাগর। গাঙ্গেয় ডেল্টার একটি দ্বীপ। যা সাগরদ্বীপ নামেই পরিচিত। গঙ্গাসাগরের অবস্থান কলকাতা থেকে প্রায় ১০০ কিমি দূরে। যা পড়ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একেবারে শেষ প্রান্তে। সেই অংশ ভারতের নয়, বাংলাদেশের, এমন হুমকিতে উঠছে প্রশ্ন।
সাগরদ্বীপে গ্রামের সংখ্যা ৪৩। জনসংখ্যা ১ লক্ষ ৬০ হাজার। সবচেয়ে বড় গ্রামটির নাম গঙ্গাসাগর। সুন্দরবনের মধ্যে সাগরদ্বীপের এই অংশ পড়লেও, এখানে নেই বাঘের আনাগোনা কিংবা ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট।
গঙ্গাসাগরে প্রতিবছরেই লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রীর সমাগম হয়। বলা যেতে পারে কুম্ভমেলার পরেই সবথেকে বেশি মানুষের সমাগম হয় গঙ্গাসাগরে।
২০০৭ সালে গঙ্গাসাগরে মকর সংক্রান্তিতে স্নান করেছিলেন প্রায় ৩ লক্ষ তীর্থযাত্রী। এরপরের থেকে প্রতিবছরেই প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় সেখানে। মকর স্নান শেষে তীর্থযাত্রীরা পুজো দেন কপিল মুনির আশ্রমে।
কোনও বছরে তীর্থযাত্রীদের ওপর এই ধরনের হুমকির ঘটনা না ঘটলেও এবারের এই ঘটনায় সরগরম গঙ্গাসাগর।
হিন্দু সংগঠনগুলির অভিযোগ, ইসলামী মৌলবাদীরাই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।