জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা! দেশজোড়া জল্পনার মাঝে কী বলছে কেন্দ্র
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা! দেশজোড়া জল্পনার মাঝে কী বলছে কেন্দ্র
চিনের পর কী এবার ভারতও হাঁটতে চলেছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পথে ? এই জল্পনা চলছিল দীর্ঘদিন থেকেই। এদিকে বিগত আদমসুমারীর পরিসংখ্যান ও তথ্য তলাশ করলেই দেখা যাবে কার্যত জনবিস্ফোরণের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত। এমতাবস্থায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সামনেই মুখ খুলল কেন্দ্র।
দুই সন্তান নীতির পথে ভারত ?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের পক্ষে জোরালো সওয়াল করে সাম্প্রতিককালে শীর্ষে আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন অশ্বিনী উপধ্যায়। এমনকী এও শোনা যাচ্ছিল এই দাবিকে সামনে রেখে শীঘ্রই ‘জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিলও' আনতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। যার দ্বারই রূপায়িত হতে চলেছে ভারতের ‘দুই সন্তান নীতি'। কিন্তু বর্তমানে এই প্রসঙ্গে খানিক ভিন্ন সুর শোনা গেল কেন্দ্রের কথায়।
কী বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ?
সূত্রের খবর, বর্তমানে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে বলপূর্বক নাগরিকদের পরিকল্পনায় হস্তক্ষেপের কথা কখনওই মান্যতা দেয় না ভারত সরকার। এর ফলে একাধারে যেমন সামাজিক অস্থিরতা তৈরির সম্ভাবনাও রয়েছে, তেমনই জন্মনিয়ন্ত্রণে সরকারি হুমক চাপানোর ফল ও হিতে বিপরীত হতে পারে। এদিন সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা একটি হলফনামায় একথা বলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়
অন্যদিকে পরিবার কল্যাণ ও জন্মনিয়ন্ত্রণেপ বিষয়গুলি বাস্তবিক ভাবে রাজ্য সরকারের অনুশাসনের উপরেই বর্তায় বলেও মত প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের পরি বড়সড় চাপানৌতর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতের জনবিস্ফোরণের কথা মাথায় রেখে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়ে এর আগে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপধ্যায়। সেখানে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর তিনি ফের সুপ্রিম একটি জনস্বার্থ মামলা করেন বলে জানা যায়। তকনই গোটা দেশের জন্য দুই সন্তান নীতি প্রণয়নের জন্যও জোরালো সওয়াল করেন তিনি।
সারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ মানুষই রয়েছেন ভারতের মাটিতে
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ১৩৫ কোটির গণ্ডি পার করেছে। এই তালিকায় চিনের পরেই নাম রয়েছে ভারতের। পাশাপাশি বিশ্বের মোট জমির মধ্যে ২ শতাংশ মাত্র ভারতে রয়েছে। সেখানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশই ভারতী। এমতাবস্থায় ক্ষমতা আসার পর বিজেপি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের রাস্তায় হাঁটে কিনা সেই বিষয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছিল দীর্ঘদিন থেকেই। অবশেষে অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র। বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য আলাদা আইনের পরিবর্তে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি, ২০০০-র পক্ষেই সওয়াল করছে কেন্দ্র।
লালু প্রসাদ যাদবের কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হতে পারে যেকোনও সময়! শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ