ঋণ খেলাপে ধনীদের ছাড়! আর গরিবরা মরছে! সুপ্রিম কোর্টে জোর সওয়াল আইনজীবীর
পিএনবি প্রতারণা মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হওয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদ তৈরি হল। সর্বোচ্চ আদালত এই মামলাকে পাবলিসিটি স্টান্ট ছাড়া আর কিছু ভাবতে রাজি নয়।
পিএনবি প্রতারণা মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হওয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদ তৈরি হল। সর্বোচ্চ আদালত এই মামলাকে পাবলিসিটি স্টান্ট ছাড়া আর কিছু ভাবতে রাজি নয়। মামলাকারী আইনজীবী বিনীত ধান্দাকে এই নিয়ে কটাক্ষও শুনতে হয়েছে।
বুধবার সুপ্রিমকোর্টে পিআইএল দায়ের করে পিএনবি মামলায় আদালতের নজরদারির দাবি করেন বিনীত ধান্দা নামে ওই আইনজীবী। তার জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তদন্ত চলছে। গ্রেফতারির সংখ্যা বাড়ছে।
সব শোনার পরে আদালত উল্টে আবেদনকারী মামলাকারীকেই তিরস্কার করে। মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এএম খানউইলকর ও ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানায়, এই আবেদনের প্রেক্ষিতে কোনও নোটিশ জারি করা হবে না।
আইনজীবী ধান্দা জানান, কোটিপতি ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের টাকা লুট করে নিশ্চিন্তে রয়েছেন। এদিকে গরিব মানুষ যারা সামান্য টাকা ঋণ নিয়েছেন তাদের আইন ছেড়ে কথা বলছে না। যা শুনে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, খবরের কাগজে কিছু পড়ে মামলা করতে চলে আসাটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রচারের জন্যই এগুলি করা হচ্ছে।
যার পাল্টা বিনীত ধান্দা বলেন, ১৬ বছর ধরে এই মামলায় রয়েছি। আমার প্রচার প্রয়োজন নেই। আদালত পাল্টা কটাক্ষ করে বলে, এটা পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন নয়, পাবলিসিটি ইন্টারেস্ট লিটিগেশন। পিআইএলের চূড়ান্ত অপব্যবহার।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়ে দেন, আগেই সরকারের গলা ধরে লাভ নেই। কোনও সমস্যা হলে আদালত রয়েছে। এই ধরনের পিটিশন প্রচারের লোভেই করা হয়। সরকারের তদন্তে আগে থেকে নাক গলানো যাবে না। কোনও সমস্যা হলে আদালত দেখবে।
এই জনস্বার্থ মামলায় ব্যাঙ্ক দুর্নীতি, নীরব মোদী ও মেহুল চোকসির জালিয়াতি নিয়ে সিট তদন্ত দাবি করা হয়েছিল। এছাড়া পিএনবির শীর্ষকর্তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা ও নীরব মোদীকে ফিরিয়ে আনতে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে তা জানতে চেয়েছিল।