দেশের সব হাইকোর্টে বিচার হোক একই পদ্ধতিতে, জনস্বার্থ মামলার আর্জি খারিজ করল শীর্ষ আদালত
দেশের সব হাইকোর্টের বিচার প্রক্রিয়া হবে একই রকম। সব হাইকোর্টে বিচারের পদ্ধতি, বিচারের ভাষা, টাকর অঙ্কও একই হবে। এমনই একটি আবেদন জানানো হয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি
দেশের সব হাইকোর্টের বিচার প্রক্রিয়া হবে একই রকম। সব হাইকোর্টে বিচারের পদ্ধতি, বিচারের ভাষা, টাকর অঙ্কও একই হবে। এমনই একটি আবেদন জানানো হয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। দেশ জুড়ে ইউনিফর্ম জুডিশিয়াল কোড তৈরি করতে ব্যবস্থা করার আর্জি জানানো হয়েছিল।
এই আর্জিতে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত ও বিচারপতি রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চে সেই আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। জনস্বার্থ মামলায় আবেদন জানানো হয়েছিল, যাতে সব হাইকোর্টের বিচার পদ্ধতিতে মিল থাকে।
বিচার প্রক্রিয়ায় যে ভাষা ব্যবহার করা হয়, কোর্টে যে টাকা লাগে, তার সবটাই একই রকম হতে হবে। আরও উল্লেখ করা হয়েছিল যে শুধুমাত্র দেশের হাইকোর্টগুলির মধ্যেই নয়, একই হাইকোর্টের ভিন্ন ভিন্ন বেঞ্চের মধ্যেও বিচার প্রক্রিয়ার অনেক ফারাক থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা হয়, রাজস্থান হাইকোর্টের কথা, যেখানে রয়েছে যোধপুর বেঞ্চ ও জয়পুর বেঞ্চ। তাদের ভাষাও আলাদা। মামলাকারীর দাবি, বিভিন্ন মামলার ক্ষেত্রে টাকার পরিমান আলাদা হওয়ায় অসুবিধা হয় সাধারণ মানুষেরও।
এতে সংবিধানের ১৪ ও ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, আঞ্চলিক ভেদাভেদও বাড়ছে। সেই প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে সারা দেশের মানুষ যাতে একই রকম পরিষেবা পায়, সেই আর্জিই জানিয়েছিলেন আইনজীবী। বর্ষীয়ান আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণ দাবি করেন, প্রধান বিচারপতিদের কনফারেন্সে অনেক আগেই এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। প্রস্তাবও তৈরি হয়।
কয়েকটি হাইকোর্ট বিষয়টি মেনে নিলেও কিছু আদালত তা কার্যকর করেনি। আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণ বলেন, সংবিধানের কথা আপনিও জানেন, হাইকোর্টগুলি জানে যে কোনটা করা উচিত আর কোনটা করা উচিত নয়। জনস্বার্থ মামলার মাধ্য়মে এমন কিছু কার্যকর করা উচিত নয় বলে মন্তব্য় করেছেন বিচারপতি ইউইউ ললিত। তাঁর দাবি, এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক রাজ্যের হাইকোর্টের ভূমিকা আছে, তাহলে তো সবাইকে ডাকতে হবে!