ব্রহ্মাণ্ডের 'ডার্ক ম্যাটার' রহস্য সমাধানে ভূগর্ভে আস্তানা গেড়েছেন বাঙালি বিজ্ঞানীরা
গুপ্ত পদার্থ নিয়ে আরও গবেষণা চালিয়ে ব্রহ্মাণ্ডের জন্ম রহস্য সমাধানে এবার উদ্যোগী হয়েছেন বাঙালি বিজ্ঞানীরা।
ডার্ক ম্যাটার বা গুপ্ত পদার্থ নিয়ে আরও গবেষণা চালিয়ে ব্রহ্মাণ্ডের জন্ম রহস্য সমাধানে এবার উদ্যোগী হয়েছেন বাঙালি বিজ্ঞানীরা। ঝাড়খণ্ডের যদুগুড়ায় মাটি থেকে ৫৫০ মিটার নিচে একটি ইউরেনিয়াম খনিতে আস্ত ল্যাবরেটরি বানিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। পৃথিবীর সৃষ্টি রহস্য সমাধানে এই গবেষণা সাহায্য করবে বলেই মন বিশেষজ্ঞদের।
গ্রানাইটের দেওয়ালের মাঝে ঘর বানিয়ে সেটিকে বদলে দেওয়া হয়েছে ল্যাবরেটরিতে। মাটির নিচে এমন পদার্থবিদ্যার ল্যাব সারা ভারতে আর নেই। এর আগে কর্ণাটকের কোলার গোল্ড ফিল্ডসে একটি ছিল। তবে ১৯৯২ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। তারপরে ফের ২৫ বছর অপেক্ষার পর যদুগোড়ায় নতুন ল্যাব তৈরি হল।
ভারতের অ্যাটমিক এনার্জি বিভাগের প্রধান শেখর বসু এদিন শনিবার যদুগুড়ার ল্যাবটি উদ্বোধন করবেন। 'সাব অ্যাটমিক পার্টিকলস' নিয়ে মূলত এখানে গবেষণা করা হবে। সাহা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্স (এসআইএনপি), কলকাতার বিজ্ঞানীরা এতে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন।
এই উদ্যোগ নতুন প্রজন্মের পদার্থবিজ্ঞানীদের জন্য এক দারুণ সুযোগ। প্রয়োজনে এই ল্যাবরেটরি মাটি থেকে আরও ৮০০ মিটার নিচে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এসআইএনপি-র ডিরেক্টর অজিত মোহান্তি।
এর আগে এই প্রকল্প তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে হওয়ার কথা ছিল। তবে সেখানে নানা জটিলতার কারণে তা ঝাড়খণ্ডে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। মাদুরাইয়ের ল্যাবে সাব অ্যাটমিক পার্টিকলস বা নিউট্রিনো নিয়ে গবেষণার কথা ছিল। তবে যদুগুড়ায় রহস্যময় 'ডার্ক ম্যাটার' নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালাবেন।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের ২৩ শতাংশ বস্তুই অদৃশ্য ডার্ক ম্যাটার। যেটিকে সাবঅ্যাটমিক পার্টিকলস বলে ব্যাখ্যা করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্বজুড়ে অনেকে এর অস্তিত্ব ব্যাখ্যা করলেও তা এখনও ধাঁধাই রয়ে গিয়েছে। সেই রহস্য সমাধানেই এবার মাটির নিচে আস্তানা গাড়তে চলেছেন বিজ্ঞানীরা।