এবার ঘরে বসেই পাওয়া যাবে পেট্রোল–সিএনজির ডেলিভারি, ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় তেলমন্ত্রীর
খাবার বা অন্য যে কোনও পণ্যের মতোই এবার বাড়িতে বসেই পেট্রোল ও সিএনজির ডেলিভারি মিলবে। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়ে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তেল মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, সরকার একটি নতুন জ্বালানী খুচরা বিক্রির মডেল চালু করতে চাইছে যেখানে পেট্রোল, ডিজেল, সিএনজি, এলএনজি এবং এলপিজি, সব ধরণের জ্বালানী এক জায়গায় পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে গ্রাহকদের বাড়িতে ডিজেল পৌঁছে দিচ্ছিল ভারতের সর্ববৃহত্ জ্বালানি খুচরো বিক্রেতা সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (আইওসি)। সারা দেশে না হলেও নির্দিষ্ট কয়েকটি বড় শহরে এই পরিষেবা চালু করেছিল সংস্থাটি। আগামী দিনে গাড়ীর মালিক ও চালকদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র। এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করবে সরকার।
এর পাশাপাশি সরকার পুরো পদ্ধতি নিয়েও যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, পেট্রোল ও সিএনজি অত্যন্ত জ্বলন্ত প্রকৃতির এবং এটি ডেলিভারির সময় ঝুঁকি রয়েছে। তাই নিরাপদে ও সুরক্ষা সহকারে এই জ্বালানি যাতে গ্রাহকের কাছে পৌঁছায় তা দেখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। ১১টি রাজ্যে ৫৬টি নতুন সিএনজি স্টেশনের উদ্বোধনে এসে প্রধান জানান যে সরকার ইতিমধ্যে ডিজেলের মোবাইলে সরবরাহ পদ্ধতি চালু করেছে। মন্ত্রী বলেন, 'পেট্রোল ও এলএনজির ক্ষেত্রেও একইভাবে সরবরাহ করা হবে।’ তিনি জানিয়েছেন যে ভবিষ্যতে মানুষ বাড়িতেই হোম ডেলিভারি পাবেন এই জ্বালানিগুলির।
ধর্মেন্দ্র প্রধান জানান যে সরকার শক্তির দক্ষতা, সাশ্রয়যোগ্যতা ও সুরক্ষা নিয়ে কাজ করছে। বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল ক্রয়কারী দেশ ভারত। কিন্তু করোনা ভাইরাস জনিত লকডাউনের কারণে এই এপ্রিল মাসেই ৭০ শতাংশ তেলের চাহিদা কমে যায়। পেট্রোলের চাহিদা এখনও ৪৭ শতাংশ কম রয়েছে। ৩৫ শতাংশ চাহিদা কমেছে ডিজেলেরও। এই অবস্থায় পেট্রো রসায়ন শিল্পে চাহিদা ফেরাতে অভিনব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভাবনা কেন্দ্রের। মন্ত্রী জানিয়েছেন যে শীঘ্রই দেশের জনসংখ্যার ৭২ শতাংশ রান্নাঘরে রান্নার গ্যাস ব্যবহার করবে।