'আমরা সুপ্রিমকোর্টের উপর গর্বিত', শবরীমালা রায়ের পর মন্তব্য মামলাকারী রাহুল ঈশ্বরের
'আমরা সুপ্রিমকোর্টের উপর গর্বিত', শবরীমালা রায়ের পর মন্তব্য মামলাকারী রাহুল ঈশ্বরের
বৃহস্পতিবার শবরীমালা ইস্যু সংক্রান্ত মামলাটিকে সাত বিচারপতির বেঞ্চের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। এই বিষয়ে মামলার আবেদনকারী রাহুল ঈশ্বর বলেন, "এটা আমাদের জন্য এক বড় জয়। আদালতের এই রায়ের ফলে আগের রায়টি খারিজ হল। আমরা সুপ্রিম কোর্টের উপর গর্বিত।"
এসএ বোবদের নেতৃত্বে পরবর্তী বেঞ্চ
শবরীমালা মামলার বৃহত্তর বেঞ্চ গঠিত হবে পরবর্তী মুখ্য বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বে। বর্তমান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ আজ মামলার রায় শওনানোর সময় এই কথা জানিয়ে দেন। এর আগে আদালত ৪:১ রায়ের ভিত্তিতে মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে হিন্দুদের শতাব্দী প্রাচীন প্রথাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করে৷ এই নিয়ে অন্তত ৬৫টি রিভিউ পিটিশন জমা পড়ে আদালতে৷ সেই রিভিউ পিটিশনের ভিত্তিতে চলা শুনানির রায়দানের সময়ই এই সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচরাপতির নেত্বাধীন বেঞ্চ।
৩:২ ব্যবধানে রায়দান
প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বর্তমান বেঞ্চে ছিলেন রোহিনটন ফলি নরিম্যান, এ এম খানউইলকর, ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং ইন্দু মালহোত্রা। এদের মধ্যে মামলায় বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি নরিম্যান বিরুদ্ধ মত দান করেছেন। ৩:২ রায়ের ভিত্তিতে এই মামলাটি পাঠানো হয়ে বৃহত্তর বেঢ্চের অধীনে। এদিন রায়দান করতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, "শুধু হিন্দু মন্দির না। মসজিদ বা পার্সিদের মন্দিরেও মহিলাদের প্রবেশাধিকার নেই। সেই ক্ষেত্রে পুরো বিষয়টাকেই খতিয়ে দেখবে নতুন বেঞ্চ।"
গতবছরের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত
গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের প্রবেশাধিকার দেয় সুপ্রিম কোর্ট। চলতি বছরের প্রথম দিকে সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারা
সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, সমান অধিকারের পথে হাঁটতে গিয়ে মৌলিক অধিকারকে খর্ব করা যায় না। ধর্মীয় বিশ্বাসে যুক্তি খাটে না৷ তবে ২০১৮ সালে মামলার রায় দিতে গিয়ে আদালত মন্তব্য করে, ধর্মাচরণের ক্ষেত্রে কোনও বৈষম্য থাকতে পারে না। শবরীমালা মন্দিরের এই প্রথায় মহিলাদের অধিকার খর্ব হচ্ছিল। মহিলাদের বাধাদান ধর্মের অংশ নয়। তবে সেই রায়ের বিরুদ্ধে রিভইউ পিটিশন এনে দাবি করা হয়, ধর্মীয় বিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত। এই একই যুক্তিতে গত শনিবার রামলালাকে অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মালিকানা দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকেই শবরীমীলী মামলায় রিভিউ পিটিশন দাখিল করাদের আশা বাড়তে থাকে।
শবরীমালা নিয়ে রায়! মামলা গেল ৭ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে
শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার, মামলার বিস্তার সম্পর্কে জেনে নিন