দিল্লি ছাড়া অন্য রাজ্যে নির্বাচনে লড়ার পক্ষে নন, দলের নয় ব্যক্তিগত মত জানালেন কেজরিওয়াল
রবিবার সন্ধ্যায় প্রবাসী সমর্থকদের উদ্দেশে গুগল হ্যাঙ্গ আউট অনুষ্ঠানে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, দিল্লির বাইকে অন্য কোনও রাজ্যে আমাদের নির্বাচনে লড়াটা উচিত হবে না। বরং সর্বশক্তি নিয়ে আমাদের রাজধানীর নির্বাচনেই মনোনিবেশ করা উচিত। যদিও এটা আমার ব্যক্তিগত ধারণা। যদিও এটি সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত ধারণা। এখনও এই বিষয়ে দলের মধ্যে কোনও রকমের আলোচনা হয়নি।" তাই এই মন্তব্যকে দলের সিদ্ধান্ত বলে যেন গণ্য না করা হয় তার জন্যও আবেদন জানিয়েছেন অরবিন্দ।
একইসঙ্গে কেজরিওয়াল জানিয়েথছেন, দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে আমরা ভাল ফল করেছিলাম। আমরা যদি একইভাবে দিল্লিতে ভাল ফল করতে পারি তাহলে দেশের অন্য রাজ্যেও আমরা ভাল ফল করতে পারব।
লোকসভা নির্বাচনের পর এবার বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ বানিয়েছে আম আদমি পার্টি। কিন্তু অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কথায়, হরিয়ানা এবং মুম্বইতে বিধানসভা নির্বাচনে এবার আম আদমি পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করাটাই ভাল। কারণ তাহলে, সমস্ত কর্মীকে নিয়ে সর্বশক্তি নিয়ে দিল্লির নির্বাচনে কাজ করা যাবে।
এদিকে নির্বাচন নিয়ে শাসক গেরুয়া দল হারের ভয় পাচ্ছে বলেও দাবি জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। তাঁর দাবি, যদি সর্বত্র গেরুয়া ঝড় বইছে বলে নিশ্চিতই থাকে বিজেপি, তাহলে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এত ভয় পাচ্ছে কেন শাসক দল। কেজরিওয়াল বলেন, "নির্বাচন হওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না কেন্দ্র। ওরা যদি জেনেই থাকে মোদী হাওয়া অত্যন্ত শক্তিশালী তাহল কেন্দ্র কেন ভাঙছে না।"
বিজেপিকে কটাক্ষ করে কেজরিওয়ালের মন্তব্য, "জোর গুজব রটেছে বিজেপি ৫ কংগ্রেস বিধায়ক এবং নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করবে। যদি দল এতটাই শক্তিশালী হবে তাহলে কেন এমন ঘোড়া বেচা খেলায় নামতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।"
মোদী সরকারেররও কড়া সমালোচনা করে এদিন তিনি বলেন, "তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে বলে মনে করছে মানুষ। দুর্নীতি, মুদ্রাস্ফীতির, রেলের ভাড়া বৃদ্ধি, দিল্লির বিদ্যুৎ ঘাটতির থেকে এখনও মুক্তি পায়নি দেশ। এদিকে কোনও নীতি ঘোষণা ছাড়াই উন্নয়নের স্বার্থে এনডিএ সরকার রেলের ভাড়া বৃদ্ধি করে দিল। আদৌ কি উন্নয়নের স্বার্থে না কি আবার দুর্নীতিকেই আমন্ত্রণ জানাতে এই ভাড়া বৃধ্দি। সরকার চালনায় পদ্ধতিগত কোনও পরিবর্তন এসেছে বলে মনে তো হয় না।"