দিল্লিতে ‘পিরিয়ড চড়ুইভাতি’–তে খেলেন ৩০০ জন, রান্না করলেন ২৮ জন ঋতুমতী মহিলা
দিল্লিতে ‘পিরিয়ড চড়ুইভাতি’–তে খেলেন ৩০০ জন, রান্না করলেন ২৮ জন ঋতুমতী মহিলা
গুজরাতের
একটি
ধর্মীয়
সভায়
বক্তব্য
করতে
গিয়ে
ভুজের
স্বামীনারায়ণ
মন্দিরের
স্বামী
কৃষ্ণস্বরূপ
দাসজি
মহিলাদের
পিরিয়ডস
নিয়ে
বলেছিলেন
যে
ঋতুমতী
অবস্থায়
কোনও
মহিলা
যদি
তাঁর
স্বামীর
জন্য
রান্না
করেন
তাহলে
পরজন্মে
কুকুর
হয়ে
জন্মাবেন
তিনি।
এই
মন্দিরের
অন্যতম
পুরনো
পুরোহিত
এই
কৃষ্ণস্বরূপ
দাসজি।
তাঁর
এই
মন্তব্যের
পরই
দেশজুড়ে
আলোড়ন
শুরু
হয়ে
যায়।
সেই
মন্তব্যের
পাল্টা
দিলেন
একদল
মহিলা।
সকলকে মোক্ষম জবাব দিল এই ২৮ জন মহিলা
সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছিল এক ভিডিও। যেখানে শ্রী সহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটের পড়ুয়াদের পিরিয়ড হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য জোর করে তাঁদের অন্তর্বাস খোলানো হয়। এই ঘটনার পর কলেজের প্রধান অধ্যক্ষ, হস্টেলের রেক্টর ও কলেজের পিওনকে বহিস্কার করা হয়। ২০১৪ সালেই এই কলেজটি শ্রী স্বামীনারায়ণ কন্যা মন্দির চত্ত্বরে স্থানান্তর হয়েছিল। এই ধরনের চিন্তা-ভাবনাকে পিছনে ফেলে মহিলারা যাতে সগর্বে এগিয়ে যেতে পারে তারই উদ্যোগ নিল এই ২৮ জন মহিলা।
২৮ জন ঋতুমতি মহিলা রান্না করেন
রবিবার দিল্লির ময়ূর বিহারের ২৮ জন মহিলা একটি চড়ুইভাতির আয়োজন করেন এবং সেখানে রান্না করে তারা স্ব-ঘোষিত প্রচারককে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন। ওই মহিলারা ৩০০ জনের জন্য রান্না করেন। তাঁদের পরনে ছিল সাদা রঙের অ্যাপ্রন ও তাতে লেখা, ‘আমি ঋতুমতী মহিলা হিসাবে গর্বিত'। এই অনুষ্ঠানটির আয়োজক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, নাম সচ্চি সহেলি, তাদের উদ্দেশ্যই হল ভারতে পিরিয়ডস নিয়ে যে অপপ্রচার রয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রচার চালানো। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া।
ঋতুস্রাব নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে এই অনুষ্ঠান
উপ-মুখ্যমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে এসে বলেন, ‘আজকের বৈজ্ঞানিক যুগে ও এই সময়ে দাঁড়িয়ে, ঋতুস্রাব সম্পর্কে শুচি বা অশুচি কোনও ব্যাপারই নয়, এটি একটি শরীরের বায়োলজিকাল পদ্ধতি, সকলের একে এভাবেই দেখা উচিত।' এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সমাজ কর্মী কমলা ভাসিন, বেনওয়াদা উইলসন এবং অরবিন্দ গৌর। এই অনুষ্ঠানে পথনাটিকা পরিবেশন করে অস্মিতা থিয়েটার গ্রুপ। সচ্চি সহেলির প্রতিষ্ঠাতা স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুরভি সিং বলেন, ‘ভুজে ছাত্রীদের ঋতুস্রাব হয়েছে কিনা তা প্রমাণ করার জন্য জোর করে তাঁদের অন্তর্বাস খোলানোর ঘটনায় আমরা অত্যন্ত বিব্রত।' এক স্কুল পড়ুয়া এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জানান এই ধরনের উদ্যোগ নিয়ে স্বামী কৃষ্ণরূপ দাসজির মতো মানুষদের সঠিক জবাব দেওয়া উচিত। ঋতুস্রাব নিয়ে যে সমস্ত পুরনো পন্থা রয়েছে, তা যাতে এড়ানো যায় তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে হবে।