জনতা ক্ষমা করবে না! গরিবদের 'লাইফলাইন' রেলের বেসরকারিকরণ নিয়ে মোদীকে একহাত রাহুলের
ফের কেন্দ্রকে তোপ রাহুল গান্ধীর। এবার ইস্যু রেলের বেসরকারিকরণ। এর আগে রেলের তরফে জানানো হয়, ১০৯টি রুটে ১৫১টি ট্রেন চালানোর দায়িত্ব বর্তাবে বেসরকারি সংস্থার উপর। মানুষকে উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করাতে, যাত্রার সময় কমাতে, কর্মসংস্থান ও যাত্রী সুরক্ষা বাড়াতে এবং বিশ্বমানের পরিষেবা দিতে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে তারা। তবে রেলের এই সিদ্ধান্তেরই কড়া সমালোচনায় নামলেন রাহুল।
কী বললেন রাহুল?
এবিষয়ে রাহুল এদিন হিন্দিতে টুইট করেন, 'রেল হল গরিবের লাইফলাইন। সরকার তা গরিবের হাত থেকে কেড়ে নিতে চায়। সরকার রেলকে কেড়ে নিতেই পারে। কিন্তু মানুষ একদিন তার সমুচিত জবাব দেবে।'
বিশ্বের বৃহত্তম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক ভারতে
প্রসঙ্গত, ভারতে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক। সেখানে প্রায় ১৩ হাজার ট্রেন চলে। রেলে প্রায় ১২ লক্ষ লোক কাজ করেন। যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে প্রতি বছর ভরতুকি দেওয়া হয়। এর ফলে রেলের ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে বাড়তে বিপুল অঙ্কে পৌঁছেছে। সেই প্রেক্ষিতেই রেলের বেসরকারিকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৫১টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বেসরকারি সংস্থার হাতে
১০৯টি রুটে চলবে ১৫১টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। যা চালাবে কোনও বেসরকারি সংস্থা। ডিসেম্বরেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার তার জন্য শুরু হল রিকোয়েস্ট ফর কোয়ালিকেশনের প্রক্রিয়া। অর্থাৎ এই ১৫১টি ট্রেন চালাতে কে বা কারা আগ্রহী তা জানার প্রক্রিয়া শুরু করল সরকার।
কর্মসংস্থান ও যাত্রী সুরক্ষা বাড়াতে এই পদক্ষেপ
আধুনিক প্রযুক্তি ও বিশ্বমানের পরিষেবার জন্য ১৫১টি বেসরকারি ট্রেন চালানোর কথা ডিসেম্বরে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই পরিবহন পরিষেবায় বেসরকারি সংস্থার প্রবেশ এই প্রথম। বুধবার বিষয়টি জানিয়ে রেলমন্ত্রক বলে, রেলে বেসরকারি বিনিয়োগের উদ্যোগ দেশে এই প্রথম। এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, মানুষকে উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করাতে, যাত্রার সময় কমাতে, কর্মসংস্থান ও যাত্রী সুরক্ষা বাড়াতে এবং বিশ্বমানের পরিষেবা দিতে।
টিকিটের দাম নির্ধারণ
রেলমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, বর্তমানে তেজস বা হামসফরের মতো ট্রেনে যে আধুনিক কোচ ব্যবহার করা হচ্ছে, সে ধরনের কোচ ব্যবহার হবে বেসরকারি ওই ট্রেনগুলিতে। যা সর্ব্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে ছুটতে পারবে। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে ১৬টি কামরা। মূলত যে রুটগুলি লাভজনক এবং যে রুটে যাত্রীদের চাহিদা রয়েছে সেই রুটগুলিতেই ওই ট্রেনগুলি চালানো হবে। ভাড়া ঠিক করার দায়িত্বে থাকবে বিনিয়োগকারী সংস্থা।
যুদ্ধের উসকানি দুই প্রান্তে! লাদাখে অস্থিরতার মাঝেই 'কাশ্মীর প্ল্যান' বাস্তবায়নের চেষ্টা পাক সেনার