পুরুষ ময়ূরের 'অশ্রু'-তেই কি গর্ভবতী হয় স্ত্রী ময়ূর, জানতে কেরলের পাখিরালয়ে উপচে পড়ছে ভিড়
পুরুষ ময়ূর কী আদৌ ব্রক্ষ্মচারী? তার অশ্রুতেই কী গর্ভবতী হয়ে পড়ে স্ত্রী ময়ূর, তা জানতে এখন রোজ ভিড় বাড়ছে কেরলের চুল্লান্নুর অভয়ারণ্যে।
দিন দিন ভিড় বাড়ছে কেরলের চুল্লান্নুর পাখিরালয়ে। কিন্তু কী এমন আছে সেখানে? এই পাখিরালেয় ময়ূরের জন্য রয়েছে আলাদা একটি বিভাগ। ময়ূরের সঙ্গম দেখতেই এখন প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে এই পাখিরালয়ে। রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি মহেশ চাঁদ শর্মা ময়ুরকে ব্রক্ষ্মচারী তকমা দেওয়ার পর থেকেই ময়ুরের সঙ্গম দেখতে সাধারণ মানুষের উৎসাহ তুঙ্গে। পুরুষ ময়ূরের চোখের জলে স্ত্রী ময়ূর গর্ভবতী হয় কিনা তা জানতেও কম আগ্রহী নয় আমজনতা।
তবে আসল উদ্যোগ কিন্তু পাখিরালয় কর্তৃপক্ষেরই। ময়ুরের সঙ্গম সম্পর্কে মানুষের মনের অন্ধকার দুর করতে তারা নিজেরাই এই ব্যবস্থা। ময়ূরের সঙ্গমের ব্যাখ্যাও করেছেন ফরেস্টার টি জি বাবু। তিনি জানিয়েছেন, আর পাঁচটা পাখির যেভাবে বংশবিস্তার হয়, ময়ূর একেবারেই তার অন্যথা নয়। পুরুষ ময়ূরের চোখের জলে স্ত্রী ময়ূরের গর্ভবতী হওয়ার তত্ত্ব একেবারেই ভুল।
রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতির বক্তব্য নিয়ে কম হাসাহাসি হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁকে যথেষ্ট ট্রোল করা হয়েছে। তিনি অবশ্য ধর্ম ও আইনকে এখনও এক করেই দেখছেন।