কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের দু'বছর, 'নয়া কাশ্মীরে'র আশাবাদীরা দিচ্ছেন রোমের উদাহরণ
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের দু'বছর, 'নয়া কাশ্মীরে'র আশাবাদীরা দিচ্ছেন রোমের উদাহরণ
৩৭০ ধারা বাতিল (abrogation of Article 370) হওয়ার পরে দুবছর কেটে গিয়েছে। অনেকেই সমৃদ্ধ নয়া কাশ্মীর (naya kashmir) গঠনের আশায় বুক বেঁধেছেন। যদি এর বিরোধীরা একে পাইপ ড্রিম (pipe dream) বলে কটাক্ষ করেছেন। অন্যদিকে নয়া কাশ্মীরের সমর্থকরা বলছেন, রোম একদিনে তৈরি হয়নি।
উপরাজ্যপাল আশাবাদী
কেন্দ্রশাসিত
কাশ্মীরের
উপরাজ্যপাল
লেফটেন্যান্ট
গভর্নর
মনোজ
সিনহার
নেতৃত্বাধীন
প্রশাসন
অবশ্য
আশাবাদী,
যে
উন্নয়ন
এবং
দুর্নীতি
বিরোধী
রাস্তায়
যাওয়ার
ফল
তারা
শীঘ্রই
পাবেন।
এক
শীর্ষ
আধিকারিক
সংবাদ
মাধ্যমকে
জানিয়েছেন,
করোনা
মহামারীর
কারণে
বাধা
আসলেও
জম্মু
ও
কাশ্মীরের
উন্নয়নে
প্রচুর
টাকা
খরচ
করা
হচ্ছে।
প্রশাসনের
তরফ
থেকে
জানিয়ে
দেওয়া
হয়েছে,
কোনও
উন্নয়নমূলক
কাজকে
স্থগিত
রাখা
যাবে
না।
তবে
সরকারেরই
একটি
অন্য
অংশ
বলছে
তবে
যেসব
প্রকল্পের
চিন্তা
করা
হয়েছে
তা
এখনও
কাগজেই
রয়ে
গিয়েছে,
কেননা
এর
বাস্তবায়ন
করতে
গেরে
প্রচুর
অর্থের
প্রয়োজন।
উন্নয়নের জন্য দুবছর যথেষ্ট নয়
সংবিধানের
৩৭০
ধারা
বাতিল
করার
সমর্থকরা
বলছেন,
কাশ্মীরে
উন্নয়নের
ফলাফল
স্পষ্ট
করে
তোলার
জন্য
এই
দুবছর
সময়
যথেষ্ট
নয়।
আর
এই
৩৭০
ধারা
বিলোপকে
অনেকেই
সেখানকার
পরিচিত
রাজনীতিবিদদের
ক্ষমতাচ্যুত
করে,
জনগণের
হাতে
ক্ষমতাকে
তুলে
দেওয়া
হিসেবেও
দেখেছিলেন।
প্রসঙ্গত
২০১৯-এর
ক্ষমতায়
আসার
বছরের
অগাস্টের
শুরুতেই
কাশ্মীরে
৩৭০
ধারা
বিলোপ
করে
কেন্দ্র।
যাঁরা
গত
বছরের
পর
বছর
ধরে
সেখানে
কার্যত
রাজত্ব
চালিয়েছেন,
তাঁরা
এখন
নিজেদের
সম্পত্তি
হারানোর
ভয়
করছেন।
এমনটা
বলছেন
স্থানীয়দের
অনেকে।
আর
মানুষ
চাইছেন,
সাধারণ
মানুষের
হাতে
ক্ষমতা
তুলে
দেওয়ার
যে
কথা
কেন্দ্র
বলেছে,
তা
ফল
পেতে।
কিছুই হয়নি বলছেন বিরোধীরা
অন্যদিকে
বিরোধীরা
বলছেন,
উন্নয়নের
কিছুই
হয়নি।
আর
কাশ্মীরকে
দেশের
মুকুটে
নতুন
পালক
হিসেবে
দেখার
স্বপ্ন
যাঁরা
করেছিলেন,
তাঁদের
স্বপ্ন
ব্যর্থই
হয়েছে।
তাঁরা
আরও
বলেছেন,
গত
দুবছরে
উন্নয়নের
মাইলফলক
হিসেবে
উল্লেখ
করার
মতো
কিছুই
হয়নি।
তার
মধ্যে
যেমন
নতুন
কোনও
রাস্তা
হয়নি,
হয়নি
নতুন
রেল
প্রোজেন্ট
কিবা
নতুন
টানেল
তৈরিও।
আর
যেগুলির
কাজ
এখন
শেষ
হচ্ছে
তার
শুরু
হয়েছিল
মনমোহন
সিং
প্রধানমন্ত্রী
থাকার
সময়ে।
প্রাক্তন
মুখ্যমন্ত্রী
ওমর
আবদুল্লা
প্রশ্ন
করেছেন,
হত
দুবছরে
এমন
কোনও
উন্নয়নমূলক
কাজ
কি
হয়েছে,
যা
উল্লেখ
করার
মতো?
যদিও
এর
জবাব
দিয়েছেন
বিজেপির
রাজ্য
শাখার
প্রধান
রবীন্দ্র
রায়না।
তিনি
বলেছেন,
যাঁরা
রাজ্যপাট
হারিয়েছেন,
তাঁরা
তাঁদের
অপসারণের
পরে
ভালো
কিছুই
চোখে
দেখতে
পাচ্ছেন
না।
কষ্টেই কাটছে সাধারণ মানুষের
উন্নয়ন
নিয়ে
সরকারের
সমর্থক
এবং
বিরোধীদের
মধ্যে
বিরোধিতা
থাকতেই
পারে,
কিন্তু
সাধারণ
মানুষ
কিন্তু
বলছেন,
গত
দুবছর
যে
সময়টা
তাঁরা
পার
করে
এসেছেন,
তা
খুবই
কষ্টের।
যাঁরা
পর্যটন
শিল্পের
সঙ্গে
যুক্ত
এমন
মানুষের
বলছেন,
জম্মু
ও
কাশ্মীরে
৩৭০
ধারা
বাতিলের
সঙ্গে
সঙ্গে
তাঁর
রাজ্যের
মর্যাদা
হ্রাস
করে
কেন্দ্রশাসিত
অঞ্চল
করার
জেরে
সেখানকার
পর্যটন
শিল্প
ধাক্কা
খেয়েছে।
২০১৯-এর
৫
অগাস্টের
পরে
সেখানে
পর্যটন
ব্যবসা
সেরকম
কিছুই
হয়নি।
কেননা
অনেকেই
আশা
করেছিলেন
২০২০-তে
পর্যটন
শিল্পে
জোয়ার
আসবে।
কিন্তু
তা
হয়নি।
কবে
গত
দুমাস
বেশ
কিছু
মানুষ
সেখানে
যাচ্ছেন
বলেও
জানাচ্ছেন
পর্যটন
শিল্পের
সঙ্গে
যুক্ত
ব্যক্তিরা।
তবে
এর
পিছনে
যে
করোনা
মহামারী
দায়ী
তা
মেনে
নিচ্ছেন
পর্যটন
ব্যবসায়ীরা।
করোনা
অর্থনীতিতে
আঘাত
করেছে।
কিন্তু
সেই
সময়ের
মধ্যে
সরকারি
কিংবা
প্রশাসনিক
পর্যায়ে
এই
ব্যবসার
সঙ্গে
যুক্তদের
কোনও
সাহায্য
করা
হয়নি
বলে
অভিযোগ।
অধিকাংশ
মানুষ
যাঁরা
পর্যটন
কিংবা
হোটেল
ব্যবসা,
শাল
তৈরি
কিংবা
কাঠের
কাজের
সঙ্গে
যুক্ত
তাদের
বাজার
হারিয়েছেন
এই
পরিস্থিতিতে।
সরকারের
তরফে
দাবি
করা
হলেও,
সেখানকার
হস্তশিল্পের
সঙ্গে
যুক্ত
মানুষজন
বলছেন,
সরকার
মুক্ত
বাজার,
মধ্যসত্ত্বভোগী
মুক্ত
বাজারের
আশ্বাস
দিয়েছিল।
কিন্তু
তা
হয়নি।
জম্মু
ও
কাশ্মীরে
শিল্পস্থাপনে
সব
থেকে
বড়
অসুবিধা
হল
বিদ্যুতের
অভাব।
সরকার
নতুন
প্রকল্প
তৈরি
করেছে,
পাশাপাশি
বাইরের
রাজ্য
থেকে
বিদ্যুত
আমদানিও
করছে।
সরকারি
আধিকারিকের
দাবি
আগামী
৪
বছরের
মধ্যে
জম্মু
ও
কাশ্মীর
বিদ্যুতে
স্বনির্ভর
হয়ে
যাবে।
তবে
গত
দুইবছরের
সব
থেকে
বড়
অভিযোগ
যেটা
উঠে
আসছে
তা
হল,
সাধারণ
মানুষ
তাঁদের
অভিযোগের
প্রতিকারের
জন্য
প্রশাসনের
নির্দিষ্ট
ব্যক্তির
কাছে
পৌঁছতে
পারছে
না।
এর
জন্য
চাই
রাজনৈতিক
সরকার
এবং
নির্বাচিত
জন
প্রতিনিধি।
এই
বিষয়টি
যতদিন
না
পর্যন্ত
ভূস্বর্গে
হচ্ছে,
ততদিন
মানুষকে
কষ্ট
ভোগ
করতে
হবে,
বলছেন
রাজনীতিবিদদের
একাংশ।