পেরিয়ে গিয়েছে ১ বছর, নোট বাতিল নিয়ে কী বলছে আমজনতা, সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
এক বছর পর মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থনই করেছেন বেশিরভাগ মানুষ। একটি অনলাইন সমীক্ষায় উঠে এল এমনই তথ্য। দেখা যাচ্ছে সিংহভাগ মানুষই এখনও প্রধানমন্ত্রী মোদীর পদক্ষেপকেই সমর্থন করছেন।
গত বছর আজকের দিনেই বোমা ফাটিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পর এক বছর ধরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জলই গড়িয়ে গিয়েছে। বিরোধীদের আক্রমণের ধার আরও বেড়েছে। এমনকী আরবিআই-এর প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনও ডিমনেটাইজেশনের বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন।
কমেছে জিডিপি-র হার। নোট বাতিলের জের হয়ত কেটে গিয়েছে, কিন্তু ওই সময়ে ব্যবসার যা ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও পুষিয়ে উঠতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। নোট বাতিলের বর্ষপূর্তিতে কী বলছে আমজনতা। ইকনমিক টাইমসের একটি সমীক্ষায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
[আরও পড়ুন:নোটবন্দি সিদ্ধান্ত কার, কবে ও কেন নেওয়া হয়েছিল, কী বলছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বয়ান]
এক বছর পর মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থনই করেছেন বেশিরভাগ মানুষ। একটি অনলাইন সমীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়েছিল,
মোটের
ওপর
নোট
বাতিলের
সিদ্ধান্তকে
আপনি
নম্বর
দেবেন?
তাতে
যা
উত্তর
হল
তা
মোদীর
মুখে
হাসি
ফুটিয়ে
তোলার
পক্ষে
যথেষ্ট।
সমীক্ষায়
উঠে
এসেছে,
৩৮
শতাংশ
মানুষই
নোট
বাতিলের
সিদ্ধান্তকে
সমর্থন
করেছেন।
৩২
শতাংশ
মানুষ
বলছেন,
এই
সিদ্ধান্ত
মিশ্র
প্রভাব
দেখা
গিয়েছে।
অপরদিকে
মাত্র
৩০
শতাংশ
মানুষ
নোট
বাতিলকে
সমর্থন
করেননি।
অনলাইনে
দ্বিতীয়
প্রশ্ন
ছিল,
নোট
বাতিল
অর্থনীতির
ওপর
কতটা
প্রভাব
ফেলেছে?
এই
প্রশ্নের
জবাবে
অবশ্য
মিশ্র
প্রতিক্রিয়াই
পাওয়া
গিয়েছে।
এখানে
২৬
শতাংশ
মানুষ
বলছেন
নোট
বাতিল
অর্থনীতিকে
অনেক
বেশি
সময়ের
জন্য
ক্ষতিগ্রস্ত
করেছে।
৩২
শতাংশের
দাবি,
নোট
বাতিল
অর্থনীতিকে
অনেক
বেশি
স্বচ্ছ্ব
করেছে।
কিন্তু
৪২
শতাংশ
মানুষ
বলছেন,
এই
সিদ্ধান্ত
অর্থনীতিতে
অনেকটাই
স্বচ্ছ্বতা
এনেছে,
কিন্তু
তাতে
দুপক্ষেরই
কিছুটা
ক্ষতি
হয়েছে।
নোট
বাতিল
কর্মসংস্থানের
ওপর
কতটা
প্রভাব
ফেলেছে?
এই
প্রশ্নের
উত্তরে
৩২
শতাংশের
দাবি,
কর্মসংস্থানের
ওপর
নোট
বাতিলের
কোনও
প্রভাবই
পড়েনি।
২৩
শতাংশের
দাবি,
চাকরির
ওপর
সুদুরপ্রসারী
নেতিবাচক
প্রভাব
পড়েছে।
কিন্তু
৪৫
শতাংশ
মানুষের
দাবি,
নোট
বাতিল
কর্মসংস্থানের
ওপর
প্রভাব
ফেলেছে
ঠিকই
কিন্তু
তা
একেবারেই
সাময়িক।
মোদী
যদি
২০০০
টাকার
নোটও
বাতিল
করেন,
তাহলে
অর্থনীতিতে
কতটা
প্রভাব
পড়বে?
এই
প্রশ্নের
জবাবে
১২
শতাংশ
মানুষ
বলছেন,
এই
রকম
কোনও
সিদ্ধান্ত
হলে
তা
ব্যবসা
ব্যাপকভাবে
মার
খাবে।
৩১
শতাংশ
মানুষের
দাবি,
এই
সিদ্ধান্ত
হলে
তা
আর্থিক
বৃদ্ধিতে
নামিয়ে
আনবে।
অপরদিকে
৪৫
শতাংশ
মানুষের
দাবি,
মোদী
যদি
এই
ধরনের
কোনও
সিদ্ধান্ত
নেন,
তাহলে
তা
কালো
টাকার
কারবারীদের
ওপর
সরাসরি
আঘাত
হানবে।
নোট
বাতিলের
পেছনে
মোদীর
আসল
উদ্দেশ্য
কী
ছিল?
এই
প্রশ্নের
উত্তরেও
মোদীর
জয়জয়কার।
৭১
শতাংশ
মানুষ
বলছেন,
অর্থনীতি
থেকে
কালো
টাকা
দুর
করতেই
এই
পদক্ষেপ
করা
হয়েছিল।
১৫
শতাংশের
দাবি,
কালো
টাকার
নাম
করে
গরিবদের
ভোট
টানাই
আসল
উদ্দেশ্য
ছিল
মোদীর।
১৪
শতাংশ
মানুষ
বলছেন,
সাম্প্রদায়িত
ইস্যুগুলি
থেকে
সাধারণ
মানুষের
দৃষ্টি
ঘোরাতেই
এই
পদক্ষেপ
ছিল
প্রধানমন্ত্রী
মোদীর।
নোট
বাতিলের
সিদ্ধান্ত
সরকারের
ভাবমূর্তিতে
কতটা
প্রভাব
ফেলেছে?
এখানেও
মোদীর
হাসির
যথেষ্ট
কারণ
আছে।
৫৫
শতাংশ
মানুষ
বলছে
এই
সিদ্ধান্ত
মোদী
সরকারের
ভাবমূর্তি
উজ্জ্বল
করেছে।
২৬
শতাংশের
দাবি,
নোট
বাতিলের
সিদ্ধান্ত
সরকারের
ভাবমূর্তি
একেবারেই
মাটিতে
মিশিয়ে
দিয়েছে।
অপরদিকে
১৯
শতাংশের
দাবি,
সরকারের
ভাবমূর্তিতে
বিশেষ
কোন
প্রভাবই
পড়েনি।
নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি বিজেপির ওপর। উত্তরপ্রদেশে ঝেঁটিয়ে সিংহভাগ আসনই নিয়ে একপ্রকার বিরোধীশূন্য করে দিয়েছে বিজেপি। এবার গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশেও যদি দেখা উত্তরপ্রদেশেরই ফলের পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে বুঝতে হবে বিরোধীরা নোট বাতিল ও জিএসটির বিরোধীতা করতে ভুল ট্রেনে চেপে বসেছে।
[আরও পড়ুন:মাত্র ৯ মিনিটেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল নোট বাতিলের ভবিষ্যৎ ]