একদিকে মোদী অন্যদিকে বসুন্ধরা, কাকে বাছবেন! রাজস্থানে দ্বন্দ্বে খোদ ভোটাররা
রাজস্থানে আমজনতা ভোটারের মনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার প্রতি মানুষের প্রবল ক্ষোভ জমে রয়েছে।
'বসুন্ধরা তেরি খৈয়র নেহি, মোদী তুঝসে বৈয়র নেহি'। একলপ্তে এটাই হল রাজস্থানে আমজনতা ভোটারের মনের কথা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার প্রতি মানুষের প্রবল ক্ষোভ জমে রয়েছে। তবে বিজেপিকে যে তাঁরা একেবারে অচ্ছ্যুৎ করে দিয়েছেন তা নয়। সরকারের ভালো কাজ নিয়ে মানুষের আগ্রহ-আলোচনা সব রয়েছে। পাশাপাশি কংগ্রেস সাংগঠনিকভাবে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। তবে দুর্বল হলেও লড়াই এবার জমে উঠেছে।
কংগ্রেসের পক্ষে কোন ফ্যাক্টরগুলি গিয়েছে যা বিজেপিকে চাপে ফেলেছে? ঔদ্ধত্যকেই সবচেয়ে এগিয়ে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। গত জানুয়ারি মাস থেকে বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া জনতার দরবার করবেন বলে ঠিক করেন। তবে ততদিনে দেরি হয়ে গিয়েছে।
দলের নেতা-কর্মীরাই তাঁর উপরে খাপ্পা। বলা চলে বসুন্ধরাকে দলের নেতা-কর্মী-বিধায়কেরা একঘরে করে রেখেছেন। সেই ইস্যুকেই হাতিয়ার করে ভোটযুদ্ধে নেমেছে কংগ্রেস। বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে রাজস্থানে অসন্তোষ রয়েছে। গ্রামে কৃষকদের সমস্যা, শহরে বেকারত্ব - সবকিছুই যেন এখন অনেক বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
[আরও পড়ুন:উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে শূন্য থেকে শুরু বিজেপির! বিধানসভায় টিকে থাকার লড়াইয়ে কংগ্রেস]
২০১৩ সালে সরকারের আসার চেষ্টা করা বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া তৎকালীন কংগ্রেসের অশোক গেহলটের সরকারের বিরুদ্ধে কাজ না দেওয়ার তোপ দেগেছিলেন। নিজে ক্ষমতায় এলে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিই রাজে-কে ক্ষমতায় আনে। ২০০টি আসনের মধ্যে ১৬০টিই বিজেপি জিতে নেয়। তবে সেই প্রতিশ্রুতি বসুন্ধরা রাখতে পারেননি। বিরোধীরা বলছেন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজে।
[আরও পড়ুন: সবরীমালায় প্রবেশ-বিতর্কে বেফাঁস স্মৃতি, শুনুন ন্যাপকিনের উদাহারণ টেনে কী বললেন ]
এই অবস্থায় সবমিলিয়ে নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপির প্রতি মানুষের ততটা রাগ না থাকলেও সব রাগ-অভিমান জমা হয়েছে বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার বিরুদ্ধে। তিনি কীভাবে এর থেকে নিস্তার পান সেটাই দেখার।
[আরও পড়ুন:বিজেপির তালিকায় বিশ্বজয়ীরা! মিশন ২০১৯-এর লক্ষ্যপূরণে ভিড় বাড়ছে তারকাদের]