শান্তিপূর্ণভাবেই দ্বিতীয় দিনের ভিডিওগ্রাফি সম্পূর্ণ জ্ঞানব্যাপী মসজিদে, ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ
শান্তিপূর্ণভাবেই দ্বিতীয় দিনের ভিডিওগ্রাফি সম্পূর্ণ জ্ঞানব্যাপী মসজিদে, ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ
বারাণসী আদালতের রায়ে ভিডিওগ্রাফি ও সমীক্ষা চলছে জ্ঞানব্যাপী মসজিদে৷ শান্তিপূর্ণভাবেই দ্বিতীয় দিনের ভিডিওগ্রাফি সম্পূর্ণ জ্ঞানব্যাপী মসজিদে, মসজিদের অভ্যন্তরের ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ বলে জানিয়েছে কোর্ট৷ স্থানীয় মসজিদ কমিটির মুসলিমদের বিক্ষোভের মধ্যেই গত সপ্তাহে স্থগিত হওয়া জ্ঞানব্যাপী মসজিদের ভেতরের ভিডিওগ্রাফি৷ তারপর আবার বারাণসী আদালতের তৈরি করে দেওয়া বিশেষ প্রতিনিধি দল এই ভিডিওগ্রাফির কাজ শুরু করেছে, কড়া পুলিশি নিরাপত্তায়!
কড়া নিরাপত্তায় হচ্ছে সমীক্ষা!
আদালতের দ্বারা নিযুক্ত অ্যাডভোকেট কমিশনারের মোবাইল রেখে মসজিদের ভেতরে ঢুকতে হচ্ছে এবং জ্ঞানব্যাপী ভিতরে কোনওরকম ব্যক্তিগত ভিডিও বানানোর অধিকার নেই কোনও আধিকারিকদের। জ্ঞানব্যাপী মসজিদটি হিন্দুদের আইকনিক কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কাছাকাছি অবস্থিত। ২০২১ সালে স্থানীয় বারাণসী আদালতে দিল্লির পাঁচজন মহিলা একটি আবেদন করে জ্ঞানব্যাপী মসজিদ নিয়ে৷ মসজিদের বাইরের দেয়ালে হিন্দু মূর্তির সামনে দৈনিক প্রার্থনার অনুমতি চেয়ে একটি আবেদন করা হয়েছিল৷ যার শুনানি প্রক্রিয়াতেই জ্ঞানব্যাপীর ভেতরে ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট৷
দ্বিতীয় দিনে কিভাবে এগিয়েছে কাজ?
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভিডিওগ্রাফি ও সমীক্ষার কাজ চলছে৷ সংবামাধ্যম সূত্রের খবর রবিবার সমীক্ষার কাজ প্রায় ৬৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সোমবারও সমীক্ষা চলবে। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার কাজ, এবং যেহেতু অ্যাডভোকেটরা সমীক্ষার কাজের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না তাই কাজে কিছুটা সময় লেগেছে। মামলায় হিন্দু পক্ষের আইনজীবী মদন মোহন যাদব এবং সহকারী অ্যাডভোকেট কমিশনার বিশাল সিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দিনের সমীক্ষার কাজ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমীক্ষার কাজে কোনও বাধা ছিল না। সমীক্ষার প্রতিবেদনটি গোপনীয়, এবং এটি প্রকাশ করা যাবে না বলেও বলেছিলেন অ্যাডভোকেটরা৷
কী বলেছেন বারাণসীর পুলিশ কমিশনার!
বারাণসীর পুলিশ কমিশনার এ সতীশ গণেশ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে শনিবার যে স্কেলে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল একই স্কেলে নিরাপত্তা বাহিনী ছিল রবিবার৷ পাশেই কাশী বিশ্বনাথে আসা ভক্তরা যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় সেদিকেও মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। সমীক্ষায় আমাদের দায়িত্ব হল একটি আদর্শ পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা, যাতে আদালতের প্রক্রিয়া কোনো বাধা ছাড়াই চলতে পারে। সমীক্ষা শুরু হওয়ার আগে, সিং সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে, চেষ্টা করা হবে যাতে পুরো সমীক্ষায় আজ (রবিবার) শেষ হয় এবং ১৭মে, রিপোর্টটি আদালতে উপস্থাপন করা যেতে পারে।
কী বলেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট?
প্রসঙ্গত, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কৌশল রাজ শর্মা শনিবার বলেছিলেন যে প্রায় ৫০ শতাংশ সমীক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৫০ শতাংশের বেশি জায়গায় সমীক্ষার কাজ করা হয়েছে। এই কাজটি গোপনীয়, এবং আদালতের তত্ত্বাবধানে করা হচ্ছে৷ তাই, কোথায় কোথায় জরিপ করা হয়েছিল এবং কী পাওয়া গেছে সেই তথ্য এখন শেয়ার করা যাবে না।
রাজ্যে বেশ কিছু গরিব হিন্দু পরিবারকে ধর্মান্তরে চাপ! বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্ত মজুমদারের