বিহার বিধানসভা ভোট ২০২০: শান্তিপূর্ণ,সুষ্ঠু নির্বাচন দ্বিতীয় দফায়, রেকর্ড ভোট পড়ল মুজফফরপুরে
বিহার বিধানসভা ভোট ২০২০: শান্তিপূর্ণ,সুষ্ঠু নির্বাচন দ্বিতীয় দফায়, রেকর্ড ভোট পড়ল মুজফফরপুরে
মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হল বিহার বিধানসভা ভোটের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহন। ১৭টি জেলায় ৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে ছিল ভোট গ্রহন। সন্ধে সাতটা পর্যন্ত চলেছে ভোট গ্রহন। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ৫৩.৫১ শতাংশ ভোট পড়েছে দ্বিতীয় দফায়। সর্বাধিক ভোট পড়েছে মুজফফরপুরে। মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ছিল নির্বাচন। দ্বিতীয় দফার মাঝেই আবার ভোটের উত্তাপ বাড়িয়েছে তৃতীয় দফার নির্বাচনী প্রচার।
সুষ্ঠু নির্বাচন বিহারে
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ভোট চলছে বিহারে। মহামারী পরিস্থিিততে দেশের প্রথম ভোট গ্রহন। প্রথম দফার পরে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহনও কাটল নির্বিঘ্নে। দ্বিতীয় দফার েক্ষত্রে অনেক কিছুই অনেকটা সহজ হয়েছে। করোনা বিধি সম্পর্কে আগের দফাতেই অনেকটা সচেতন হয়ে গিয়েছিলেন ভোটাররা। কোথাও কোনও গণ্ডগোলের খবর পাওয়া যায়নি।
ভোট পড়ল ৫৩.৫১ শতাংশ
করোনার কারণে এবার বেশি সময় ধরে ভোট গ্রহন হচ্ছে বিহারে। সন্ধে সাতটা পর্যন্ত বুথে বুথে চলেছে ভোট গ্রহন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ৫৩.৫১ শতাংশ ভোট পড়েছে বিহারে। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে মুজফফরপুরে। ৪১.২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে মুজফফরপুরে। তারপরেই রয়েছে পশ্চিম চম্পারণ(৩৯.৩৪), খাগারিয়া(৩৮.১১), সমস্তিপুর(৩৬.৯৯), বৈশালী, সারান, বেগুসরাই, ভাগলপুর, নালন্দা, পাটনা, পূর্ব চম্পারন, দ্বারভাঙাতেও যথেষ্ট ভাল ভোটদান হয়েছে।
হেভিওয়েটদের ভোট
দ্বিতীয় দফায় ভোট দিয়েছেন হেভিওয়েটরা। তেজস্বী যাদব মা রাবড়িদেবীকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিয়েছেন। ভোট দিয়ে রাবড়িদেবী বলেছেন জয় অবার আরজেডিরই হবে। ভোটদিয়েছেন নীতীশ কুমার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্মিনী কুমার চৌবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরকে সিংও ভোট দিয়েছেন নিজের বুথে গিয়ে। বিজেপি ছাড়া আর কেউ জিতবে না বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আক্রান্ত নীতীশ
এদিকে বিহারের মধুবনীতে প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন নীতীশ কুমার। সভা চলাকালীন তাঁর দিকে পেঁয়াজ ছোরা হয়েছে। এন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তৃতীয় দফার প্রচারে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিতে চলেছে সিপিএম। দ্বিতীয় দফার প্রচারের মধ্যেই বিহারে তৃতীয় দফার প্রচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে ক্ষমতায় এলে বিহারবাসীর আকাঙ্খা পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
রাহুলের প্রচার
অন্যদিকে তৃতীয় দফার প্রচারে গিয়ে কৃষকদের অধিকার নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি দাবি করেছে ছত্তিশগড়ে কৃষকরা কুইন্টাল প্রতি ধান বিক্রি করে ২৫০০ টাকা পান। আর বিহারের কৃষকরা ৭০০ টাকা পান। তার কারণ নীতীশ সরকারকে তাঁরা ভোট দিয়ে জিতিয়ে এনেছিলেন। তাই এটাই সেই ভুল শুধরে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ বলে জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী।
জো বাইডেনের বিরুদ্ধে কমলা হ্যারিসের ষড়যন্ত্র! নির্বাচনের আগেই নয়া তত্ত্ব মার্কিন মুলুকে