৩৫০ কোটি টাকা দিলেই পেয়ে যেতে পারেন এই দুই স্টেশনের মালিকানা
আস্ত দুইটি স্টেশনের মালিকানা। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারা করল রেল কর্তৃপক্ষ। তবে, কিছু শর্ত আছে। আর তা মানার মতো ক্ষমতা থেকে থাকে তাহলে একবার চেষ্টা ,করে দেখতে পারেন।
জমি-বাড়ি বিক্রির কথা এতদিন সকলের জানা ছিল। তা বলে আস্ত স্টেশন বিক্রি! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। কানপুর ও এলাহাবাদ রেল স্টেশন দুইটি ৪৫ বছরের জন্য বিক্রি করতে চলেছে রেল কর্তৃপক্ষ। আর এর জন্য ন্যূনতম দর কানপুরের জন্য ২০০ কোটি এবং এলাহাবাদের জন্য ১৫০ কোটি।
পঁয়তাল্লিশ বছর মেয়াদি চুক্তিতে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম এবং তার সংলগ্ন এলাকার উন্নয়ন করবে স্টেশনের মালিকানা পাওয়া সংস্থা। স্টেশন সংলগ্ন রেলেরই ফাঁকা জমিতে হোটেল,মল,মাল্টিপ্লক্স তৈরি করবে ওই সংস্থা।
ভারতীয় রেলওয়ের পক্ষ থেকে প্রথমদফায় ২৫ টি রেল স্টেশনকে আধুনিক সাজে সাজিয়ে তুলতে ইতিমধ্যেই পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের কানপুর ও এলাহাবাদ স্টেশন আছে এই তালিকায়। আটাশে জুন অনলাইনে এই নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
নিলামে কোন সংস্থা সর্বোচ্চ দর দিল তা জানা যাবে ত্রিশে জুন। রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে স্টেশনগুলির আধুনিকীকরণের সরকারি সিদ্ধান্তের কথা আগেই জানিয়েছিলেন। পঁচিশটি স্টেশনের জন্য মোটামুটিভাবে ৩০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই হাওড়া স্টেশনের জন্য প্রাথমিক দর চারশো কোটি এবং রাঁচি স্টেশনের জন্য একশো কোটি টাকা রাখা হয়েছে। হাওড়ায় রেল মিউজিয়ামের পিছনে দশ একর জমি এবং রাঁচিতে পাঁচ দশমিক ছয় এবং দুই দশমিক ছয় একরের দুটি জমি বানিজ্যিকভাবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এছাড়াও যে স্টেশনগুলি আধুনিকীকরণের জন্য তালিকায় আছে, সেগুলি হল, বেঙ্গালুরু সিটি, ব্যাঙ্গালোর ক্যান্টনমেন্ট, মুম্বইয়ের লোকমান্য তিলক,মুম্বই সেন্ট্রাল(মেইন) পুনে, থানে, বিশাখাপত্তনম, কামাক্ষ্যা, ফরিদাবাদ, জম্মুতাওয়াই,ভোপাল, বোরিভালি এবং ইন্ডোর।