নির্ভয়ার চার সাজাপ্রাপ্তকে সম্ভবত ফাঁসি দেবেন পবন জল্লাদ
নির্ভয়ার চার সাজাপ্রাপ্তকে সম্ভবত ফাঁসি দেবেন পবন জল্লাদ
নির্ভয়া গণধর্ষণ ও খুনের চার সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে সম্ভবত ফাঁসির দড়িতে ঝোলাবেন পবন জল্লাদ। তিনি জানান যে তিনি ওই চারজনকে ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য একেবারে প্রস্তুত রয়েছেন। আজতক আয়োজিত 'দের হ্যয় তো অন্ধের হ্যয়’ সেশনের মঞ্চে এসে জানিয়েছেন পবন। এই সেশনের প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিচারক ঊষা মেহরা, প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমার, তিহার জেলের প্রাক্তন আইন বিশেষজ্ঞ সুনীল গুপ্তা এবং মানবাধিকার কর্মী জন দয়াল।
সেশন শুরু হয় সম্প্রতি হায়দরাবাদে ঘটা মহিলা পশু চিকিৎসকের গণধর্ষণ ও হত্যার প্রশ্ন নিয়ে। সেশনের সঞ্চালক সামস তাহির খান প্যানেলকে প্রশ্ন করেন যে হায়দরাবাদের ঘটনা কি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়নি যে মানুষের বিচার ব্যববস্থার ওপর আস্থা উঠে গিয়েছে? এ প্রসঙ্গে ঊষা মেহরা জানান, বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা আছে ঠিকই কিন্তু বিচারের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়। তিনি উদাহরণ হিসাবে নির্ভয়া কাণ্ডের কথা বলেন, যাঁকে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে দিল্লিতে নির্মমভাবে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। তিনি আরও জানান যে, সময় মতো ন্যায়বিচারের জন্য পুলিশ ও বিচার বিভাগ উভয়কেই দ্রুত হওয়া দরকার। ঊষা মেহরার মতে, 'তদন্ত যদি দ্রুত শেষ না হয়, তবে রায় ও শাস্তির বিধানও দ্রুত দেওয়া যায় না।’ তিনি সময় মতো ফরেনসিক তদন্ত এবং নমুনা সংগ্রহের ওপর গুরুত্ব দিতে বলেন এবং জানান যে 'আপনি যদি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করেন’ তবে অর্ধেক যুদ্ধ ইতিমধ্যে জিতে গিয়েছছেন।
ভালো ফলাফলের জন্য পুলিশের কি উচিত তদন্ত এবং আইন–শৃঙ্খলাকে ভাগ করে দেওয়া, এর জবাবে প্রাক্তন কমিশনার নীরজ কুমার জানান যে এটা করেও কোনও ফল পাওয়া যায়না। পুলিশ কমিশনার বলেন, 'থানাগুলিতে পুলিশের সংখ্যা একেই কম। যদি তাদেরও বিতরণ করা হয়, তবে রবিবার জামিয়ায় যা অবস্থা হয়েছিল তাই হবে। এদিন জামিয়াতে যত সংখ্যক পুলিশ গিয়েছিল তা যথেষ্ট ছিল না। তাই আমি পুলিশকে তদন্ত ও আইন–শৃঙ্খলায় ভাগ করে দেওয়ায় একমত নই।’
বন্দী বেড়ে গিয়ে অথচ জেলসংখ্যা কমেছে, এমনই তথ্য দিয়েছে এনসিআরবি। এ প্রসঙ্গে তিহার জেলের প্রাক্তন আইন বিশেষজ্ঞ সুনীল গুপ্তা জানান, এসিআরবির তথ্য অনুসারে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দেশে ৪১২টি সংশোধোনাগার ছিল, যা একবছরে কমে হয়েছে ৩৬১টি। দেশের জেলগুলিতে ৩ লক্ষ পর্যন্ত কয়েদি থাকতে পারে কিন্তু বর্তমানে ৪ লক্ষ কয়েদি রয়েছে। দেশের বিচার ব্যবস্থা ও আইনি বিষয় নিয়ে প্যানেলে উপস্থিত সকলেই আলোচনা করেন।
তবে এই সেশনের মূল আকর্ষণ ছিলেন পবন জল্লাদ। যিনি সম্ভবত নির্বয়া খুনীদের ফাঁসিকাঠে ঝোলাবেন। তিনি মঞ্চে উঠেই জানান যে তিনি তা করতে একেবারে প্রস্তুত। তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে তাঁকে জল্লাদ বলে ডাকলে তিনি কি লজ্জিত বোধ করেন? ফাঁসুড়ে পবন জানান এতে তাঁর কোনও লজ্জা নেই, কারণ এটা তাঁদের পারিবারিক পেশা। পবন কি পারবেন চারজনকে একসঙ্গে ফাঁসি দিতে? তিনি জানান যে আদালতের নির্দেশ পালন করতে তিনি একদম তৈরি এবং এটা করে তিনি তাঁর দাদুর রেকর্ড ভাঙবেন।
অসমে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হচ্ছে, এক–দু’দিনেই সেনা তুলে নেওয়া হবে