'পাঠানকোট জঙ্গি হামলা ভারতেরই কীর্তি', এমনটাই দাবি পাকিস্তানের
নয়াদিল্লি, ৫ মার্চ : পাঞ্জাবের পাঠানকোটে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তান দুটো দেশই রাজনৈতিক-কূটনৈতিক নানা আলোচনা চালিয়েছে। কিন্তু তার নিট ফল যে শূন্য তা ফের একবার প্রমাণ করল পাকিস্তান। ফের একবার প্রমাণ করল, সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে ভাষণ দেওয়া ছাড়া আর কোনও কাজ নেই সেদেশের রাজনেতারদের। [যাবতীয় প্রমাণ সত্ত্বেও এফআইআরে নাম নেই মাসুদ আজহারের]
একইসঙ্গে ভারত বা অন্য দেশগুলি পাকিস্তানের সরকার ও সন্ত্রাসবাদীদের সরাসরি আঁতাত নিয়ে যে অভিযোগ করে, সম্ভবত সেটাও সত্যি। সন্ত্রাসবাদ দমনের কোনও সদিচ্ছা পাকিস্তান সরকার আজ পর্যন্ত দেখাতে পারেনি। কারণ নেতা-জঙ্গি সবাই একই স্কুলের ছাত্র। [পাঠানকোট হামলা : এই প্রমাণগুলি বলছে হামলাকারীরা পাকিস্তানিই]
কেন এভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে পাকিস্তানের উপরে? পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সূত্র অনুযায়ী, ভারতে যৌথ তদন্তের নামে আসা পাক তদন্তকারী দলের আধিকারিকেরা যে কথা বলেছেন তাতে ফের একবার পাকিস্তানের সদিচ্ছার অভাব ফুটে উঠেছে।
জানা গিয়েছে, পাঠানকোট জঙ্গি হামলা নিয়ে ভারতের দেওয়া তথ্যপ্রমাণে নাকি সন্তুষ্ট হতে পারেননি পাকিস্তানের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। তারা রিপোর্টে জানিয়েছেন, পাঠানকোটে এমন একটি হামলা হওয়ার পরে সেটাকে হাতিয়ার করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে 'নোংরা প্রচার' চালিয়েছে ভারত।
অর্থাৎ স্পষ্ট করে বললে, এই হামলায় পাকিস্তানের কোনও হাত নেই। ভারতে হামলা হয়েছে। সেব্যাপারে ভারতের কাছে নাকি সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল। তাও তা না আটকে উল্টে পাকিস্তানের উপরে দোষ চাপানো হচ্ছে।
আরও জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের যৌথ তদন্তকারী দলের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে নাকি কোনও সহযোগিতা ভারতীয় গোয়েন্দারা করেননি। এই ঘটনা ভারতই ঘটিয়েছে। গোটা বিষয়টিই আসলে নাটক। সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মার্চের শেষে এদেশে এসে এনআইএ দফতরে বৈঠকের পরে পাঠানকোটে গিয়েও তদন্ত করে আসেন পাকিস্তানি তদন্তকারী দলের পাঁচ সদস্য। এরপরে দেশে ফিরে রিপোর্ট তৈরি করেন তাঁরা। এই রিপোর্ট আর কয়েকদিনের মধ্যেই পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এখন দেখার তা দেখে কি প্রতিক্রিয়া দেখান পাক প্রধানমন্ত্রী।