কামাল বাবা রামদেবের, পতঞ্জলি বাজারে নিয়ে এল কোভিড–১৯–এর ওষুধ, দাবি কাজ করে ৩ থেকে ১৫ দিনে
পতঞ্জলি বাজারে নিয়ে এল কোভিড–১৯–এর ওষুধ
যোগ গুরু রামদেবের ভেষজ পণ্যের সংস্থা পতঞ্জলি মঙ্গলবার করোনা ভাইরাসের ওষুধ করোনিল নিয়ে আসল বাজারে। সংস্থার দাবি, এটি একটি প্রমাণিত ওষুধ, যা কোভিড–১৯ চিকিৎসায় সহায়তা করবে। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই পতঞ্জলির সিইও আচার্য বালকৃষ্ণ দাবি করেছিলেন যে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের ওষুধ তৈরি করে ফেলেছেন তাঁরা। এদিন উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে পতঞ্জলির হেডকোয়ার্টারে সাংবাদিক বৈঠক করে যোগগুরু রামদেব এই ওষুধ প্রকাশ্যে আনে।
আচার্য বালকৃষ্ণ দাবি করেছিলেন যে এই ওষুধ পরীক্ষায় শতকরা পাশ করে গিয়েছে। পতঞ্জলির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পতঞ্জলি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) ও জয়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স (নিমস)–এর যৌথ উদ্যোগে এই ওষুধ তৈরি করা হয়েছে। পতঞ্জলির দিব্যা ফার্মেসি এই ওষুধ উৎপাদন করবে বলে জানা গিয়েছে।
এই ওষুধের সূচনার সময় রামদেব বলেন, 'পুরো বিশ্ব অপেক্ষা করছে কেউ না কেউ এই করোনা ভাইরাসের ওষুধ তৈরি করবে। আজকে আমরা গর্বিত যে করোনা ভাইরাসের প্রথম ভেষজ ওষুধ তৈরি করতে পেরেছি আমরা। এটার নাম করোনিল।’ তিনি বলেন, 'আমরা এই ওষুধ ১০০ জন রোগীর ওপর প্রয়োগ করেছি। মাত্র তিনদিনের মধ্যে ৬৫ শতাংশ রোগীর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।’ রামদেব জানিয়েছেন, সাতদিনের মধ্যে ১০০ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, 'পর্যাপ্ত গবেষণার পরই আমরা এই ওষুধ প্রস্তুত করেছি। আমাদের ওষুধে করোনা রোগী একশো শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠবে এবং মৃত্যুর আশঙ্কা একেবারেই নেই।’ রামদেব দাবি করেছেন যে কোভিড–১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য এই আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিকাশের ক্ষেত্রে পতঞ্জলি সমস্ত বৈজ্ঞানিক নিয়ম অনুসরণ করেছেন।
'২০১৫ সালে ২,২৬৪ জন চিনার ভারতে অনুপ্রবেশ নিয়ে মোদীকে প্রশ্ন করুন', চিদাম্বরমের তোপ নাড্ডাকে