অসমের বন্যা দুর্গতদের মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার বিলির অভিযোগ, বিতর্কে পতঞ্জলি
ফের বিতর্কে যোগগুরু বাবা রামদেবের পতঞ্জলি। বন্যা বিধ্বস্ত অসমে পতঞ্জলির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া খাবারসহ অন্য জিনিস বিলির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন
ফের বিতর্কে যোগগুরু বাবা রামদেবের পতঞ্জলি। বন্যা বিধ্বস্ত অসমে পতঞ্জলির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া খাবারসহ অন্য জিনিস বিলির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলে পতঞ্জলির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া গুড়ো দুধের প্য়াকেট দেখানো হয়। দেখানো হয় গত বছরে মেয়াদ শেষ হওয়া জুসের প্যাকেটও। এ্ররপরেই বিতর্ক ওঠে। অভিযোগ, পতঞ্জলির জিনিস খেয়ে কিংবা ব্যবহার করে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
মাজুলির ডেপুটি কমিশনার পল্লভগোপাল ঝা জানিয়েছেন, মাজুলিতে পতঞ্জলির প্রতিনিধি তাদের কাছে বেশ কিছু মেয়াদ উত্তীর্ণ জিনিস থাকার কথা জানিয়েছেন। তাঁরা আশ্বস্ত করেছেন সেই জিনিস বন্যা দুর্গতদের মধ্যে বিলি করা হচ্ছে না। জেলা প্রশাসন সংস্থার প্রতিনিধিকে মেয়াদ উত্তীর্ণ জিনিস তাদের হাতে তুলে দিতে অথবা নষ্ট করে ফেলতে বলেছে।
সংস্থার তরফ থেকেই মেয়াদ উত্তীর্ণ জিনিস বিলি করা দায় অস্বীকার করা হয়েছে। সংস্থার জিনিসপত্রের পরিবহণ ও বন্টনের দায় তাঁরা নিলেও, ঘটনার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। তাঁদের গুদাম থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ কোনও জিনিস বের করা হয় না বলেও জানানো হয়েছে। সম্পূর্ণ মানবিকতার খাতিরেই তারা বন্যা দুর্গত অসমবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন পতঞ্জলির মুখপত্র তিজারিওয়ালা। সংস্থার অভিযোগ, তাদের নামে কালি ছেঁটাতে অন্য কেউ এই কাজ করেছে।
অসমে এর আগেই বিতর্ক উঠেছে পতঞ্জলিকে নিয়ে। ১৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অসমে মেগা ফুড পার্ক তৈরি করছে পতঞ্জলি। গতবছরের নভেম্বরে বালিপাড়ার ওই নির্মীয়মান ফুড পার্কের কুয়োয় পড়ে যায় একটি বড় ও একটি বাচ্চা হাতি। বাচ্চা হাতিটিকে বাঁচানো সম্ভব বলেও, বড় হাতিটি মারা যায়।
এবছরের জুলাইয়ে নগাঁও জেলায় এক মহিলা পতঞ্জলির মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ।
এরই মধ্যে পতঞ্জলির তৈরি জিনিস নিয়ে মিথ্যা প্রচারের অভিযোগ উঠেছে। পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে আদালতে শরণাপন্ন হয়েছে পতঞ্জলির একাধিক প্রতিযোগী সংস্থা। বহুজাতিক সংস্থার বাজার চলতি নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পতঞ্জলি তাদের তৈরি জিনিসের নাম রেখেছে বলে অভিযোগ। কোনও সময় ডেটল সাবানের সঙ্গে যুদ্ধে তাদের তৈরি সাবানের নাম রাখা হয়েছে ঢিটল, পিয়ার্স সাবানের জায়গায় টিয়ার্স, লাইফবয় সাবানের জায়গায় লাইফজয়। সব ক্ষেত্রেই পতঞ্জলির বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছে প্রতিযোগী সংস্থাগুলি।