পদুচেরি এক্সপ্রেসে ১২ ঘণ্টা বিকল এসি, বিক্ষোভ দেখানোয় যাত্রীদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ
দিন দিন বেড়ে চলেছে রেলের ভাড়া। কিন্তু, পরিষেবা দেওয়ার নামে সেই আদ্যিকালেরই পড়ে আছে রেল। এর ফের একবার প্রমাণ মিলল হাওড়ামুখী পদুচেরি এক্সপ্রেসে।
হাওড়াগামী ডাউন পদুচেরি এক্সপ্রেসে এসি কামরায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বিকল হয়ে দুর্ভোগের শিকার হলেন যাত্রীরা। বিক্ষোভ দেখিয়ে খেতে হল পুলিশের লাঠিপেটা। এমনকী, বিক্ষোভরত যাত্রীদের ফেলেই ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রেলের বিরুদ্ধে। ১২ ঘণ্টার দুর্ভোগের যাত্রার পর বিজয়ওয়াড়া স্টেশনে এসি এ-১ কামরার যাত্রীদের সরানো হয় অন্য কামরায়। হাওড়া স্টেশনে ট্রেন পৌঁছনোর পর অসুস্থ হয়ে পড়া যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
পদুচেরি থেকে ট্রেন ছাড়ার পরই সমস্যার সূত্রপাত। এসি কামরায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বিকল। ঘেমে নেয়ে একাকার কাণ্ড। দুর্ভোগের এই কথা তাঁরা জানান রেলকর্মীদের। কিন্তু সুরাহা না মেলায় রানিকুণ্টা স্টেশনে ট্রেন থামতেই বিক্ষোভ শুরু করেন যাত্রীরা। অভিযোগ, বিক্ষোভ থামাতে রেল পুলিশ বিক্ষুব্ধ যাত্রীদের উপর লাঠিচার্জ করে। তবু বিক্ষোভ চলতে থাকায় যাত্রীদের ফেলে রেখেই চলতে শুরু করে ট্রেন।
বাধ্য হয়ে প্রাণ হাতে চালু ট্রেনেই উঠে পড়তে হয় যাত্রীদের। যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় বিপদ ঘটতেও পারত। স্বাচ্ছন্দের পরিষেবা তো নেই-ই, রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন যাত্রীরা।
যাত্রীদের প্রশ্ন, চড়া দামে এসি টু টিয়ারের টিকিট কাটার পরও কেন এই দুর্ভোগের শিকার হতে হবে? কেন তাঁরা স্বাচ্ছন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন। এমনই পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হবে যে অসুস্থ হয়ে পড়তে হবে রেলযাত্রীদের? এমনকী রেল পুলিশের লাঠির আঘাতও সইতে হয়েছে তাদের। রেল কি তাহলে স্বাচ্ছন্দের পরিষেবা দেওয়ার জন্য যে টাকা নিয়েছে, তা ফেরৎ দেবে। এদিন হাওড়া স্টেশনে পৌঁছনোর পর অসুস্থ যাত্রীদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই বিকল এসি সারানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছিল । যাত্রীদের অন্যত্র সরানোর বন্দোবস্ত করা হয়। যাত্রীদের উপর লাঠিচার্জ ও ট্রেন ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে সঞ্জয় ঘোষ বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
{promotion-urls}