চরম সংকট গাড়ি বাজারে, বিক্রিতে রেকর্ড পতন
গাড়ির বাজারে যেন শনির দশা লেগেছে। গত এক দশকে যা হয়নি, তার চেেয়ও বেশি ক্ষতি হয়েছে গত এক মাসে। গাড়ি কেনা প্রায় বন্ধের মুখে। এতোটাই তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে গাড়ি বিক্রিতে। এই পরিস্থিতি শেষবার দেখা গিয়েছিল ১৯৯৭-৯৮ সালে। ২০১৯ সালের শুধু মাত্র অগস্ট মাসেই সেই পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছে। শুধু চার চাকার গাড়ি নয় ২ চাকার গাড়ি স্কুটি, বাইকের বিক্রিতেও মন্দা দেখা দিয়েছে। গত তিন বছরে এমন হয়নি এতোটাই কমেেছ ২ চাকার গাড়ির বিক্রি। ২ চাকা, চার চাকার গাড়ি মিলিয়ে গাড়ি বিক্রি কমেছে মোট ৩১.৫৭ শতাংশ।

গাড়ি বিক্রিতে ঘাটতি
প্রতিবছর অগস্ট মাসে যেখানে ২৮৭,১৯৮ ইউনিট গাড়ি বিক্রি হয়। সেতুলনায় এবছর শুধুমাত্র অগস্টে গাড়ি বিক্রি হয়েছে ১৯৬,৫২৪ ইউনিট। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্যাসেঞ্জার গাড়ির বিক্রি। অগস্টে এই গাড়ির বিক্রি কমেছে ৪১.০৯ শতাংশ। ১৯৬,৮৪৭ ইউনিটের জায়গায় বিক্রি হয়েছে ১১৫,৯৫৭ ইউনিট গাড়ি। ইউটিলিটি গাড়ি বিক্রির হারও কমেছে। ৭৩,০৮৫ ইউনিট গাড়ি বিক্রি হয়েছিল গত বছর অগস্টে সে জায়গায় এবার বিক্রি হয়েছে মাত্র ৭১,৪৭৮ ইউনিট গাড়ি। ভ্যান সেগমেন্টের গাড়ির বিক্রিতেও দৈন দশা। ৪৭.৩৬ শতাংশ কমেছে গাড়ির বিক্রি।

সংকটে রয়েছে গাড়ির কোম্পানিগুলি
বিক্রিতে এতোটাই মন্দা দেখা গিয়েছে যে উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে একাধিক বড় গাড়ি কোম্পানিগুলি। কয়েকদিব আগেই মারুিত সুজুকি, হরিয়ানার দুটি গাড়ি কারখানায় ২ দিন উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। হুন্ডাইও পাঁচ দিন উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আর্থিক মন্দায় বড় ধাক্কা
আর্থিক মন্দার কারণেই গাড়ির বাজারে এই খরা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত এক মাসে শেয়ার হাজারে সবচেয়ে বেশি গাড়ি সংস্থাগুলির শেয়ার পড়েছে। তার উপরে বিক্রিতে ঘাটতি সব মিলিেয় চরম দুরবস্থার মধ্যে রয়েছে গাড়ি শিল্প।
উৎসবের মরশুমে গাড়ির বাজার চাঙ্গা করতে ইতিমধ্যে দেশের একাধিক অর্থনীতি বিদদের সঙ্গে আলোচনা সেরেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এমনকী গাড়ির দামে জিএসটি কমানোরও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন:আশা ভোঁসলের কাছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো কী পাঠালেন! টুইট গায়িকার]