১১ বছরে প্রথমবার যাত্রী সংখ্যায় হ্রাস দেখল দিল্লি ও মুম্বই বিমানবন্দর
২০০৮ সালের পর থেকে এই প্রথমবার ২০১৯ সালে যাত্রীদের সংখ্যায় হ্রাস দেখতে পেল ভারতের দুটি ব্যস্ততম বিমানবন্দর, দিল্লি ও মুম্বই। ২০১৮ সালের তুলনায় গতবছর এই দুটি বিমানবন্দরেই কম সংখ্যক যাত্রীদের সংখ্যা দেখা গিয়েছে। এদিকে মুম্বইতে যাত্রী সংখ্যা হ্রাসের পাশাপাশি দেখা গিয়েছে যে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া উড়ানের সংখ্যাও কমেছে।
কী কারণে যাত্রী সংখ্যায় হ্রাস?
ক্রমাগত ধীর গতিতে এগোতে থাকা অর্থনীতির প্রভআবেই এই বিমান পরিষেবার প্রতি যাত্রীদের অনীহা বলে মনে করা হচ্ছে। মূলত গতবছরের এপ্রিল থেকে এই সংখ্যা পড়তে শুরু করে। পাশাপাশি ইন্ডিগো ও গো এয়ারওয়েজের বোইং ম্যাক্স ৭৩৭ বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাতিল হওয়া উড়ানও এই সংখ্যার হ্রাসের পিছনে অন্যকম একটি কারণ। তাছাড়া পাকিস্তানের আকাশসীমা ভারতের জন্যে ১৩৮ দিন বন্ধ ছিল গতবছর। এই কারণেই যেখানে ২০১৯ সালে দিল্লি ও মুম্বই যাত্রী সংখ্যার দিক থেকে রেকর্ড গড়ার আশায় ছিল, সেখানে এই দুটি বিমানবন্দরেই যাত্রী সংখ্যা কমে গিয়েছে।
দিল্লি বিমানবন্দরে যাত্রীদের হিসাব
ভারতের ব্যস্ততম দিল্লি ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ম্যাজিক ফিগার ৭ কোটি থেকে ২ লক্ষ যাত্রী কম দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যাটা নেমে আসে ৬ কোটি ৮০ লক্ষে। প্রায় ২.৬ শতাংশ হ্রাস দেখা দেয় যাত্রী সংখ্যায়। এদের মধ্য আন্তর্জাতিক যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১.৯ কোটি। আর ঘরোয়া যাত্রীর সংখ্যা ৪.৯ কোটি।
মুম্বই বিমানবন্দরে যাত্রীদের হিসাব
এদিকে মুম্বইয় বিমানবন্দরে ২০১৮ সালে ৩.৫ কোটি ঘরোয়া যাত্রী বিমান পরিষেবা গ্রহণ করেন। তবে ২০১৯ সালে সেই সংখ্যাটা ৩.৩৮ কোটিতে নেমে আসে। আন্তর্জাতিক যাত্রীর সংখ্যা ১.৪ কোটি থেকে নেমে ১.৩ কোটিতে এসে দাঁড়ায়।
দেশজুড়ে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে
তবে দিল্লি ও মুম্বইতে যাত্রী সংখ্যায় হ্রাস দেখা গেলেও ভারতে সামগ্রিক ভাবে এই সংখ্যা বেড়েছে। গতবছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১৩.১ কোটি ঘরোয়া যাত্রী দেশজুড়ে বিমান পরিষেবা গ্রহণ করেন। ২০১৮ সালে এই একই সময়কালে এই সংখ্যাটা ছিল ১২.৬ কোটি।