প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে 'রাজীব ফিরোজ খান' সম্বোধন করে নয়া বিতর্কে বিজেপি সাংসদ
ফের বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি সাংসদ পরবেশ ভর্মা। সোমবার সংসদে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে 'রাজীব ফিরোজ খান' বলে সম্বোধন করায় হট্টগোল বেধে যায় সংসদে। এর আগে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জঙ্গি আখ্যা দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা পরবেশ ভর্মা।
'গান্ধী পরিবার মুসলিম'
বাজেট অধিবেশন শুরুর সময় রাষ্ট্রপতির ভাষণে মোশন অফ থ্যাঙ্কস-এ বিতর্ক শুরু করে ভার্মা এই দাবি প্রচারের চেষ্টা করেছিলেন যে ইন্দিরা গান্ধী একজন মুসলমানকে বিয়ে করেছিলেন এবং তাই গান্ধী পরিবার মুসলিম, কিন্তু ধর্মকে আড়াল করে চলেছে। আদতে ইন্দিরা নেহেরু ফিরোজ গান্ধীকে বিয়ে করেছিলেন। ফিরোজ এলাহাবাদের পার্সি-জোরোস্ট্রিয়ান পরিবারের।
'সিএএ বাতিল করবে না বিজেপি'
ক্ষমতাসীন বিজেপি কখনও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে বাতিল করবে না বলে প্রতিজ্ঞা করে তিনি বলেন, 'এটি রাজীব ফিরোজ খানের সরকার নয়। এটি নরেন্দ্র মোদীর সরকার।' সম্ভবতঃ রাজীব গান্ধী সরকার ১৯৮৫ সালে শাহ বানো মামলায় সুপ্রিমকোর্টের রায় বাতিল করার জন্য একটি আইন করেছিলেন। তবে এর কারণ হিসাবে পরবেশ দাবি করতে চাইলেন যে রাজীব নিজেই মুসলমান ছিলেন।
কেজরিওয়ালকে জঙঅগি বলেছিলেন পরবেশ
এর আগে কেজরিওয়ালকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন পরবেশ। বিজেপি নেতার কথায়, 'দিল্লিতে কেজরিওয়ালের মতো অনেক নাটওয়ারলাল এবং সন্ত্রাসবাদী আছে। আমি বুঝতে পারি না যে কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে না দিল্লির কেজরিওয়ালদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।' এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে আম আদমি পার্টি।
শাহীনবাগ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য
এদিকে কেজরিওয়ালকে জঙ্গি আখ্যা দেওয়া ছাড়াও শাহীনবাগ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরে এসেছিলেন পরবেশ ভর্মা। তিনি বলেছিলেন, 'শাহীনবাগের প্রতিবাদীরাই একদিন ঘরে ঢুকে মা-বোনেদের ধর্ষণ-খুন করবে।'তিনি আরও বলেছিলেন, 'লক্ষাধিক লোক শাহীনবাগে জড়ো হয়েছে প্রতিবাদ করতে। দিল্লির মানুষদের পুরো ব্যাপারটা বুঝতে হবে এবং ভাবতে হবে। এই লোকগুলোই সকলের বাড়িতে ঢুকবে, মা-বোনেদের ধর্ষণ করে খুন করবে আর কারও কিছু করার থাকবে না। আজ সময় রয়েছে সকলের কাছে, বেশি দেরি করলে মোদী-শাহ বাঁচানোর জন্যও কিন্তু থাকবে না।'
নিষএধাজ্ঞা জারি হয়
একাধিক বিতর্কের পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের জেরে পরবেশ ভর্মাকে তাদের প্রচারকের তালিকা থেকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয় বিজেপি। পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকেও তালিকা থেকে সরিয়ে দেয় বিজেপি। তবে তাঁদের উপর নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হলে ফের প্রচারের ময়দানে নামতে পারবেন তাঁরা।