সাত বছরেই শিরে সংক্রান্তি অবস্থা সিপিএমের! আর কত নামবে ৩৪ বছরের শাসক
প্রায় সাড়ে তিন দশক ক্ষমতায় থাকার পর বিরোধী দল হিসেবে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার কী জ্বালা এবার হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে সিপিএম।
প্রায় সাড়ে তিন দশক ক্ষমতায় থাকার পর বিরোধী দল হিসেবে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার কী জ্বালা এবার হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে সিপিএম। মাত্র সাত বছরেই শিরে সংক্রান্তি অবস্থা ৩৪ বছরের শাসকের। নামতে নামতে দু লক্ষেরও নীচে নেমে গিয়েছে সিপিএমের সদস্য সংখ্যা। আর এই সদস্য হ্রাস্যমানতাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে বঙ্গের লালপার্টি।
[আরও পড়ুন:ভোট কবে, কী তার সম্ভাবনা, আইনি জট কাটিয়ে বল এখন নির্বাচন কমিশনের কোর্টে ]
হায়দরাবাদ পার্টি কংগ্রেস পেস হওয়া রিপোর্টে ঘোর আতঙ্কে বঙ্গ সিপিএমের জন্য। ২১ তম পার্টি কংগ্রেস আর ২২ তম পার্টি কংগ্রেসের মধ্যে চার বছরের ব্যবধানে ৭৮ হাজারেরও বেশি পার্টি সদস্য কমেছে ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির। ২০১৪ সালে সিপিএম পার্টি সদস্যের সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪৭০ জন। আর ২০১৮ সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৯৫২ জন। অর্থাৎ ৭৮ হাজার ৫১২ জন প্রার্টি সদস্যপদ ত্যাগ করেছেন।
এই পার্টি কংগ্রেসের আরও এক হতাশার কথা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে ৬০ হাজার পার্টি কর্মী সিপিএম ছেড়েছে। এবং তাঁরা যোগ দিয়েছেন বিজেপি এবং তৃণমূলে। অর্থাৎ দলের সাংগঠনিক রিপোর্টেই অবক্ষয়ের চিত্র স্পষ্ট। এই অবক্ষয়ের রিপোর্টে অন্যান্য রাজ্যকে অনেকখানি পিছনে ফেলে দিয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
একমাত্র কেরালা ছাড়া অন্য রাজ্যগুলিতে সিপিএমের হাল খারাপ। সর্বত্রই পার্টির সদস্য কমেছে। একমাত্র সদস্য সংখ্যা বেড়েছে কেরালায়। এই অবস্থায় বঙ্গ নেতৃত্বের মুখের হাসিও কেড়ে নিয়েছে এই রিপোর্ট। কেন এই সাত বছরেই এই হাল হল সিপিএমের? কেন পার্টি সদস্যদেরও ধরে রাখা যাচ্ছে না। শুদ্ধিকরণের দোহাই দিয়ে কি এই রোগ ঢাকতে পারবেন বঙ্গ সিপিএমের নেতারা? প্রশ্নটা কিন্তু রয়েই যায়।
১৯৬৪ সালে সিপিআই ভেঙে জন্ম হয় সিপিএমের। তারপর ১৯৭৭ সালে প্রথমবার যখন ক্ষমতায় আসে সিপিএম. তাদের পার্টি সদস্য ছিল ৩৩ হাজার। তারপর দ্রুত বাড়তে থাকে সিপিএমের সদস্য। ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকার ফলে অনেক বনোজলও ঢোকে। তবে বাংলা সিপিএমের সদস্য সংখ্যাই বেশি ছিল অন্য রাজ্যের তুলনায়।
কিন্তু ২০১১ সালে ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর দ্রুত হারেই কমত থাকে সিপিএমের পার্টি সদস্যসংখ্যা। ২০১৪ সালের পার্টি কংগ্রেসে কেরালা ছাপিয়ে যায় বাংলাকে। আর এবার কেরালা যখন সিপিএমের পার্টি সদস্য সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাংলা সিপিএম তখন কমে নেমেছে দু-লাখের নিচে। যা সিপিএমের অস্তিত্বকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।
[আরও পড়ুন:শূন্য কলসি নিয়ে বিদায় নিয়েছে তৃণমূল! চিৎকার করে পরাজয় ঢাকার চেষ্টা, বলছে বিজেপি ]