
বিচ্ছিন্ন উত্তর-পূর্বের জাতীয় সড়ক, অসমে এখনও পর্যন্ত মৃত ৭১! গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
প্রায় সারা দেশেই মৌসুমী বায়ুর (South West Monsoon) আগমন হয়েছে। ফলে আগামী কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাল্কা থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর-পূর্ব, হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহক থাকবে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। এছাড়া দিল্লি ও দক্ষিণ ভারতের কিছু অংশে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

উত্তর-পূর্বের জাতীয় সড়ক বিচ্ছিন্ন
উত্তর-পূর্বের ত্রিপুরা, মিজোরাম, মনিপুর, দক্ষিণের অসমের সংযোগকারী ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধসের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। রবিবার পর্যন্ত পরপর ৪ দিন এই জাতীয় সড়ক দেশের অন্য অংশের থেকে বিচ্ছিন্ন। অন্যদিকে এলাকার সঙ্গে সংযোগকারী
রেলপথ যা গত ৩৮ দিন ধরে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়ের জাতীয় সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পরিদর্শন করেছেন। তিনি কথা বলেন আটকে পড়া ট্রাক চালকদের সঙ্গে। তাঁদেরকে সাহায্যের আশ্বাসও তিনি দিয়েছেন।
দেশের অন্য অংশের সঙ্গে সংযোগ রক্ষার জন্য বিকল্প পথ পাওয়া গেলেও তা হাল্কা গাড়ির জন্য খোলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে জাতীয় সড়ক পুনঃস্থাপনের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
অসম থেকে মেঘালয় পর্যন্ত জাতীয় সড়কে অন্তত এক হাজার ট্রাক আটকে পড়েছে।

বিপর্যস্ত অসমের বড় অংশ
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ১৪ মে থেকে অসমের ডিমা হাসাও জেলার পরিস্থিতিও খারাপ। এই অংশে ত্রিপুরা ও মিজোরামের সঙ্গে সংযোগরক্ষাকারী লুমডিং-বদরপুর লাইনও ক্ষতিগ্রস্ত। বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে মনিপুর এবং অসমের দক্ষিণ অংশও। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগআধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন জুনের শেষ পর্যন্ত সুমডিং বিভাগে ট্রেন চলাচল বাতিল করা হয়েছে। এই বিভাগের ষাটটির বেশি জায়গায় ধস নেমেছে। যার ফলে ত্রিপুরা, মিজোরাম, মনিপুর এবং অসমে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ৪৬ টি জায়গায় ধস সরানো গিয়েছে। বাকি জায়গাগুলিতে কাজ
চলছে। ইতিমধ্যেই অসমে প্রাকৃতিক দুর্যোগে অন্তত ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু রবিবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড ও বিহারের বেশিরভাগ অংশে অগ্রসর হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী দুদিন এইসব জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। পাশাপাশি আগামী দুদিনের মধ্যে
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের অবশিষ্টাংশে পৌঁছে যাবে। অন্যদিকে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ওড়িশার কালাহান্ডির ওপরে রয়েছে।

দিল্লিতে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা
১ জুন দেশে বর্ষা শুরুর পর থেকে দিল্লিতে যে বৃষ্টি হয়েছে, তা স্বাভাবিকের থেকে কম। তবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এই মুরসুমের গড়ের থেকে কিছুটা কম। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দিল্লির আকাশ মেঘলা থাকবে এবংহাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তবে দিল্লিতে এখনও বর্ষার প্রবেশ হয়নি। ২৭ জুন তা পৌঁছতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

দক্ষিণ ভারতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ২৩ জুনের মধ্যে তামিলনাড়ু ছাড়াও, পুদুচেরি ও কারাইকালে বজ্রবিদ্যুৎ-সগ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
Weather Update: ২ জেলায় অতিভারী আর ৭ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ! একনজরে বাংলার আবহাওয়া