ডিজিটাল ইন্ডিয়ার অংশ আরোগ্য সেতু করোনা আবহে দারুণ কাজ করছে, দাবি নরেন্দ্র মোদীর
ডিজিটাল ইন্ডিয়ার অংশ আরোগ্য সেতু করোনা আবহে দারুণ কাজ করছে
বৃহস্পতিবার ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ষষ্ঠ বর্ষ পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সে মুখোমুখি হলেন ডিজিটাল ইন্ডিয়ার অন্তর্গত একাধিক প্রকল্প থেকে যাঁরা লাভবান হয়েছেন তাঁদের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এই অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন ছয় বছরের ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রোগ্রামটি প্রযুক্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।
২০১৫ সালে চালু হয় ডিজিটাল ইন্ডিয়া
২০১৫ সালের ১ জুলাই মোদী সরকার ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগ চালু করে এই লক্ষ্য নিয়ে যে ভারতে ডিজিটাল ক্ষমতায়িত সমাজ গড়ে উঠবে এবং অর্থনীতি নিয়ে মানুষের মধ্যে জ্ঞানের বিকাশ ঘটবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান যে কোভিড-১৯ মহামারির সময় ভারতের হাতে তৈরি ডিজিটাল সমাধানকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব। তিনি এর সঙ্গে যোগ করে জানান, মারণ করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে দমন করতে কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ আরোগ্য সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মোদী দৃঢ়ভাবে দাবি করেছেন এদিন যে ডিজিটাল ইন্ডিয়া সুদূর প্রসারিত স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহে মূল ভূমিকা পালন করেছে।
সহজে ও দ্রুত কাজ হচ্ছে দেশের
মোদীর কথায় লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হয়েছে এই জিজিটাল ইন্ডিয়া সমাধান ও সাধ্যের মধ্যে ইন্টারনেট, স্মার্টফোনের মাধ্যমে। মোদী এর সঙ্গে এও জানিয়েছেন যে সরকার ও মানুষ, পদ্ধতি ও সুবিধা এবং সমস্যা ও সমাধানের মধ্যে দুরত্ব দূর করে সাধারণ মানুষকে ক্ষমতায়ন করেছে এই ডিজিটাল ইন্ডিয়াই। শুধু তাই নয়, নরেন্দ্র মোদী জোর দিয়ে বলেছেন ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্মের শংসাপত্র, বিদ্যুতের বিলের টাকা প্রদান, আয়কর রিটার্ন এবং আরও অনেক পরিষেবা দ্রুত ও সহজে হয়ে যাচ্ছে এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে। গ্রামে অবশ্য ই-কমন সার্ভিস সেন্টার গ্রামবাসীদের এ বিষয়ে সহায়তা করছে। সেই সঙ্গে এই দশকে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও বিশ্ব ডিজিটাল অর্থনীতিতে ভারতের ক্ষমতা আরও উন্নত হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এই কারণেই বড় বড় বিশেষজ্ঞরা এই দশককে ভারতের টেকডে হিসেবে দেখছেন।'
ভারতীয়দের স্টার্টআপ ব্যবসা
ডিজিটাল ইন্ডিয়া দিবসের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান বহু ভারতীয় তাঁদের স্টার্টআপ ব্যবসা শুরু করে ইউনিকর্ন ক্লাবের ( ১ বিলিয়ন ডলার বা তার বেশি স্টার্টআপের মূল্য) অংশ হয়েছেন এবং দেশের যুব সম্প্রদায় ডিজিটাল ক্ষমতায়নকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।
এক দেশ এক রেশন কার্ড
ডিজিটাল ইন্ডিয়া ৬ বছরের পূর্তিতে মোদী বলেন, 'ইউপিআই ব্যবহার করে দেশের মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৫ লক্ষ ডলার লেনদেন করেন। এক দেশ, এক রেশন কার্ড প্রকল্প যা এই ডিজিটাল মিশনের আওতায় সম্ভব হয়েছে তা বিশেষ করে পরিযায়ী ও অভিবাসী শ্রমিকদের সাহায্য করেছে।
ভারতের এক অনুরোধে গলল বরফ, কোভিশিল্ডকে গ্রিন পাসে 'এন্ট্রি' দিল ইউরোপের নয়টি দেশ