
সারা দেশে স্কুলে অভিন্ন পাঠ্যক্রম, সুপারিশ সংসদের শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির
সিবিএসসি, আইসিএসসি ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যে স্কুল শিক্ষার জন্য আলাদা বোর্ড রয়েছে। তাদের পাঠ্যক্রমও আলাদা। সংসদের শিক্ষা বিষয়কস্থায়ী কমিটি (Parliamentary Standing Committee in Education) মনে করে পাঠ্যক্রমে অভিন্নতা আনা জরুরি। সেই কারণে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সারা দেশে স্কুল শিক্ষায় অভিন্নতা (common curriculum for schools) আনার সুপারিশ করেছে। তারা স্কুলগুলির জন্য অভিন্ন পাঠ্যক্রম তৈরির পরামর্শ দিয়েছে সরকারকে।

শিক্ষার মান একই থাকবে
সংসদের শিক্ষা বিষয়কস্থায়ী কমিটি তাদের করা সুপারিশে শিক্ষামন্ত্রককে এব্যাপারে কাজ করতে বলেছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, এই পাঠ্যক্রমে বিদ্যালয়ে পড়ানো সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটি মনে করছে, এটা করতে পারলে তা সারা দেশে শিক্ষায় অভিন্নতা আনবে। পাশাপাশি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মানও একই থাকবে। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে এমনটাই খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই সুপারিশ প্রায় ২৫ দফা বলেও জানা গিয়েছে।

সিবিএসই, আইসিএসসি এবং রাজ্যের বোর্ডগুলিকে নিয়ে কাজের পরামর্শ
সংসদের শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বিজেপির সাংসদ বিনয় সহস্রবুদ্ধ। তাঁর নেতৃত্বাধীন কমিটি এমন একটা সময়ে পাঠ্যক্রম নিয়ে সুপারিশ করল, যেসময় দেশে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত করতে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। এই কাজ করতে গেলে স্কুলগুলির জন্য নতুন সিলেবাস এবং পাঠ্যপুস্তক তৈরি করতে হবে। তবে তা তৈরি করার আগে স্কুলের পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করাটাও জরুরি। কেননা সারা দেশে বিভিন্ন রাজ্যে বোর্ডগুলির সিলেবাস আলাদা।

জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়ণের কাজ চলেছে
সংসদের শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির এক সদস্যের কথায়, জাতীয় শিক্ষানীতির রূপায়ণ করতে গিয়ে স্কুলগুলির জন্য যখন নতুন পাঠ্যক্রম তৈরির কাজ বাকি রয়েছে, সেই সময় এই সুপারিশ বিবেচনা করে দেখতে পারে সরকার। বিদ্যালয় শিক্ষার জন্য নিরলসভাবে কাজ করার ব্যাপারে জোর দিয়েছে শিক্ষা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়ণে বিরোধিতা
অনেক শিক্ষাবিদ যেমন জাতীয় শিক্ষানীতির সমর্থক, ঠিক তেমনই পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের সরকার এই নীতির বিরুদ্ধে। কেন্দ্র একতরফাভাবে শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন করছে বলে এর আগে অভিযোগ করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে। এতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছিল।
এদিকে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ রূপায়ণে জাতীয় শিক্ষানীতি সেল গড়তে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নির্দেশ দিয়েছেন ইউজিসির চেয়ারম্যান ডিপি সিং। এব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা বলেছেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই তারা পরবর্তী বিষয়ে অগ্রসর হবেন। জাতীয় শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করা সেভ এডুকেশন কমিটি মনে করে এই শিক্ষানীতির মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা অনলাইন ভিত্তিক হয়ে পড়বে। পাশাপাশি শিক্ষার কর্পোরেটাইজেশন হবে।

তৃণমূলকে ধাক্কা দেবে বিজেপিই! চ্যালেঞ্জ করে সময় জানালেন কিষেণজিকে 'প্রাক্তন' করা শুভেন্দু অধিকারী