বিরোধীরা বিরোধিতায় অনড়, শুক্রবারও অচলাবস্থা জারি সংসদে
সংসদে শীতকালীন অধিবেশনের আরও একটা দিন কাটল তুমুল হট্টগোলের মধ্যে দিয়ে। কারণ রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রর সাসপেনশনের দাবিতে বিরোধীরা এদিন সংসদে হট্টগোল করেন। এর পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলির বেসরকারিকরণ এবং সাসপেন্ডেড সাংসদদের সমর্থনে ও কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সংসদে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান বিরোধীরা। আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত শীতকালীন অধিবেশন চলার কথা। কিন্তু তার মধ্যে বেশিরভাগ দিনই বিরোধীদের হট্টগোলের মধ্যে দিয়ে কাটছে।
সাসপেন্ড হওয়া ১২ জন সাংসদদের নিয়ে সরকার এবং বিরোধী ঐক্যমত্যে এখনও পৌঁছতে পারেনি। সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যদি ওই সাংসদরা ক্ষমা চান তাহলে বিচার বিবেচনা করা হবে। এদিকে সাংসদরা ক্ষমা চাইবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি বিরোধী দলগুলি কেন্দ্র সরকারের এই আচরণ বৈষম্যমূলক বলে সরাসরি তোপ দেগেছে। এমনকী উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুও দু'পক্ষকে আলোচনা করতে অনুরোধ করেন বিষয়টি মিটিয়ে নিয়ে।
উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেছেন, আজকে আমি রাজ্যসভার দলনেতা পীযূষ গোয়েল এবং বিরোধী বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমি প্রত্যেকের কাছে অনুরোধ করেছি যাতে সব পক্ষ ঐক্যমত্যে পৌঁছে সংসদকে সচল করার বিষয়ে পদক্ষেপ করেন।
রাজ্যসভায় বেশ কয়েকদিন ধরেই বিরোধীরা সাংসদদের সাসপেনশন নিয়ে হট্টগোল করে চলেছেন। তাদের স্পষ্ট দাবি অগণতান্ত্রিক উপায়ে এই সাজা চাপানো হয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্র সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য, আগে সাংসদদের নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।
এরই মাঝে এবারে সংসদ কৃষি আইন, উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির ঘটনা সহ একাধিক ইস্যুতে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে। বিরোধীরা একদিকে যেমন গান্ধী মূর্তি পাদদেশে ধরনা করেছেন, ঠিক তেমনই সংসদের অন্দরে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। এসবের মাঝখানেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হয়ে গিয়েছে। এখন দেখার আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংসদে আর কী কী ঘটনা ঘটে।