সংঘাতের আবহে লাদাখে সংসদীয় দল, গ্রাউন্ড জিরো সফরের নেতৃত্বে অধীর চৌধুরী
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে সংসদীয় প্যানেল লাদাখ সফরে যাবে বলে জানা গিয়েছে। ভারত-চিন সংঘাতের আবহে এই হাইপ্রোফাইল সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। লাদাখের হাল হকিকত জানতে একদম গ্রাউন্ড জিরোতে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সংসদীয় প্যানেলের তরফে।
শীতকালীন পোশাকের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে সফর
মূলত লাদাখে মোতায়েন সেনা জওয়ানদের শীতকালীন পোশাক এবং থাকার তাঁবুর বন্দোবস্ত খতিয়ে দেখতে সেখানে যাচ্ছে এই প্যানেল। অক্টোবরের ২৮-২৯ তারিখ নাগাদ এই সফর হবে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে এই সফরের বিষয়ে অবগত করা হয়েছে অধীরদের পক্ষ থেকে। তবে এই সফরে রাহুল থাকবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সফর নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে ২৩ সেপ্টেম্বরের একটি বৈঠকে।
লাদাখ ইস্যুতে সংসদীয় বৈঠক
এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর লাদাখ ইস্যুতে সংসদীয় বৈঠক অুষ্ঠিত হয়। নিরাপত্তাবাহিনীর রেশনের সঠিক তত্ত্বাবধান এবং রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে কি না সেই নিয়ে আলোচনাই এই বৈঠকের লক্ষ্য ছিল। সীমান্তবর্তী এলাকার উপর বিশেষ দৃষ্টিপাত কর হয় বৈঠকে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল এই বৈঠকে।
গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে দল
সেই বৈঠকেই সিডিএস বিপিন রাওয়াত জানিয়ে দিয়েছিলেন, লাদাখে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হলে তাদের জন্যেও পর্যাপ্ত রেশন ব্যবস্থা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেনার তরফ থেকে কমিটির সামনে রেশন ব্যবস্থা এবং সামরিক প্রস্তুতি সম্পর্কিত দুটি প্রেজেন্টশনও পেশ করা হয়। সেই প্রেক্ষিতেই এবার সরাসরি গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন সংসদীয় দলের সদস্যরা।
সীমান্ত সমস্যার খবর
সীমান্ত সমস্যার খবর প্রথম প্রকাশ্যে আসে মে মাসের শুরুর দিকে। চিন নিজেদের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল-এর পাশে নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য রাস্তার কাজ শুরু করেছিল। এরপর ভারতও বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনকে দিয়ে এলএসি-র পাশের নেটওয়ার্ক তৈরি করার কাজ শুরু করে। কিন্তু তাতে বাধা দেয় চিনের সেনা। রুখে দাঁড়ায় ভারতীয় সেনা। এর জেরে লাদাখের তিন জায়গায় মুখোমুখি হয় দুই দেশের সেনা। ক্রমশ বাড়তে থাকে উত্তেজনা।
সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি বৈঠক থেকে
এই আবহেই ১৫ জুন মধ্যরাতে গালওয়ান উপত্যকায় চিন এবং ভারতীয় সেনার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা সামনে আসে। ভারতের ২০ জন জওয়ান শহিদ হন। চিনের তরফেও সেনারা জখম এবং নিহত হন। সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে শুরু হয় দু'দেশের সেনা স্তরে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক। এই আবহে সোমবার দুই দেশের সেনা কমান্ডার স্তরের বৈঠক হয় ফের। তবে তা থেকেও কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি বলে জানা যাচ্ছে।
জমছে বরফ, ক্রমেই চড়ছে কূটনীতির পারদ! শীত বাড়তেই লাদাখ নিয়ে আরও ফ্রন্টফুটে চিন