অধীরের রাষ্ট্রপত্নী মন্তব্যে উত্তাল সংসদ, এ সপ্তাহের মতো মুলতুবি উভয় কক্ষের অধিবেশন
অধীরের রাষ্ট্রপত্নী মন্তব্যে উত্তাল সংসদ, এ সপ্তাহের মতো মুলতুবি উভয় কক্ষের অধিবেশন
এক অধিবেশনে ২৭ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করার পর বিক্ষোভ-অবস্থান উত্তাল সংসদভবন। তারপর বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপত্নী হিসেবে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর মন্তব্যকে নিয়ে নতুন করে উত্তাল হয় সংসদ। বিক্ষোভ-পাল্টা বিক্ষোভে এ সপ্তাহের জন্য মুলতুবি হয়ে গেল বাদল অধিবেশন।
অধীর চৌধুরীর 'রাষ্ট্রপত্নী' মন্তব্য, সংসদ উত্তাল
বৃহস্পতিবার অধীর চৌধুরী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মকে রাষ্ট্রপত্নী হিসেবে উল্লেখ করার পর ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে যায় সংসদে। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। অধীর চৌধুরীর তাঁর করা মন্তব্য ভুল হয়েছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। এবং তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বলেও জানান, তারপরও বিজেপি অন্যাহ্য দাবি করতে থাকে।
"আদিবাসী বিরোধী ও দেশবিরোধী অধীর চৌধুরী"
এদিন বিজেপির পক্ষে মন্ত্রী কিরেন রিজিজু কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে আদিবাসী বিরোধী ও দেশবিরোধী বলে উল্লেখ করেন। রিজিজু প্রশ্ন তোলেন একজন আদিবাসী বিরোধী ও দেশ বিরোধী ব্যক্তি কীভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন। এই বিষযটিতে তুচ্ছ করে দেখা ঠিক হবে না। এটা একটা নিন্দনীয় ঘটনা।
সরকারপক্ষের ক্ষমা চাওয়া উচিত, পাল্টা অধীরের
অধীর চৌধুরী এই ঘটনায় বলেন, আমি ভুল মন্তব্য করছি, তার জন্য ক্ষমা চেয়েছি। তারপরও বিজেপি তথা কেন্দ্রের শাসকদল অন্যায় দাবি করে বলছেন সোনিয়া গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে হবে। সোনিয়া গান্ধীকে গতকাল যেভাবে টার্গেট করা হয়েছে সংসদে, তা অনৈতিক। এ জন্য সরকারপক্ষের ক্ষমা চাওয়া উচিত। সরকারপক্ষকে ক্ষমা চাইতেই হবে। দু-পক্ষের হই হট্টোগোলে এদিনও উত্তাল হয়ে ওঠে সাংসদ। এই হই-হট্টগোলের মধ্যে উভয় কক্ষণ এ সপ্তাহের জন্য মুলতুবি করে দেওয়া হয়। বিরোধীদের বিক্ষোভের মধ্যে সংসদের উভয় কক্ষ ১ আগস্ট পর্যন্ত মুলতুবি করা হয়।
এইমসে রোটেশনাল হেডশিপ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এদিন স্বল্পক্ষণ অধিবেশন চলাকালীন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডাভিয়া বলেন, এইমসে রোটেশনাল হেডশিপ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও আলোচনা হয়নি। রোটেশনাল হেডশিপ বাস্তবায়ন নিয়ে সরকারের কোনও প্রস্তাব রয়ছে কি না জানতে চাওয়া হলে শুক্রবার লোকসভায় তিনি বলেন, রোটেশনাল হেডশিপ ইস্যুতে বিভিন্ন কমিটির সুপারিশ ভিন্ন ভিন্ন। এখন এই বিষয়টিতে একটা ঐক্যমত্যে পৌঁছতে হবে। তারপর তা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মান্দাভিয়া বলেন, বিভিন্ন সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি এবং কিছু আইআইটি রোটেশনাল হেডশিপ নীতি অনুসরণ করে। কিন্তু এইমস যাতে এই নীতি অনুসরণ করে চালানো যায়, তার জন্য একাধিক প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যাতেই দিল্লিতে মমতা! মোদী ছাড়াও দেখা হবে দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও