'সেন্সরশিপ চলছে, সংসদ কক্ষ এখন সরকারের সিক্রেট চেম্বার', মোদী সরকারকে আক্রমণ তৃণমূলের
'সেন্সরশিপ চলছে, সংসদ কক্ষ এখন সরকারের সিক্রেট চেম্বার', দিল্লিতে বসে মোদী সরকারকে তিব্র আক্রমণ তৃণমূলের। আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। সেখানে তিনি কার্যত বিজেপি সরকারকে
'সেন্সরশিপ চলছে, সংসদ কক্ষ এখন সরকারের সিক্রেট চেম্বার', দিল্লিতে বসে মোদী সরকারকে তিব্র আক্রমণ তৃণমূলের। আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। সেখানে তিনি কার্যত বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি।
একই সঙ্গে কংগ্রেসের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ডেরেক। বলেন, একাধিক রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৯০ শতাংশ হেরেছে কংগ্রেস। সেখানে আঞ্চলিক শক্তিগুলি ভালো ফল করেছে।
এই মুহূর্তে সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলছে। কিন্তু এবারও তৃণমূল সহ অন্যান্য দলের ১২ সাংসদকে বহিস্কার করা হয়েছে। গত অধিবেশনের করা কাজের জন্যে এবারও সেই সিদ্ধান্ত বহাল। আর তা নিয়েই এদিন জোরাল সওয়াল করেন ডেরেক। সংসদের ইতিহাসে এমন কোনও পদক্ষেপে আগে নেওয়া হয়েছে কিনা তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন।
বলেন, সংসদের ইতিহাসে এমন কোনও সিদ্ধান্ত আগে নেওয়া হয়নি। আর এটা নজিরবিহীন। আর এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্না লাগাতার চলবে বলে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ডেরেক। গান্ধী মূর্তি পাদদেশে এই ধরনা চলবে।
তবে এই ধর্না তৃণমূল কিংবা কংগ্রেসের নয়, যে ১২ জন সাংসদকে বহিস্কার করা হয়েছে সমবেত লড়াই। তাও এদিন স্পষ্ট করে দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার এই সাংসদ।
অন্যদিকে সংসদে সাংবাদিকদের ঢুকতে না দেওয়া নিয়েও এদিন সরব হন ডেরেক। আর এই ইস্যুতে গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার লড়াই চালাচ্ছে বেশ কয়েকটি প্রেস ক্লাব। কেন ঢুকতে দেওয়া হবে না, তা নিয়েই চলছে আন্দোলন। আর এই ইস্যুতে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তাঁর নামে একটি চিঠি আন্দোলনরত সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আর এই প্রসঙ্গে ডেরেক বলেন, সেন্সরশিপ চলছে মোদী সরকারের। লোকসভা টিভি কিংবা রাজ্য সভা টিভির ক্যামেরা শুধু স্পিকার এবং বিজেপি সাংসদদের দিকেই তাক করা থাকে। বিরোধীদের কোনও বক্তব্যও দেখানো হয়না।
বিরোধীরা কিছু বলতে গেলেও অনলাইন এডিটিংয়ে কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপি সরকার কেন ভয় পাচ্ছে? কি লুকোতে চাইছে? প্রশ্ন ডেরেক। সাংবাদিকদের ঢুকতে না দেওয়ার মধ্যে ষড়যন্ত্র দেখছেন তৃণমূল সাংসদরা। শুধু তাই নয়, সংসদ কক্ষ এখন সরকারের সিক্রেট চেম্বার বলেও তোপ রাজ্য সভার সাংসদের।
উল্লেখ্য, সংসদীয় বিধিভঙ্গের জন্য ১২ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করেছেন অধ্যক্ষ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রী।
আর এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে তৃণমূলকে তোপ তথাগত রায়ের। তিনি লেখেন, ''আমরা দেখছি জনৈক হাতুড়ে মন্ত্রীর হাত থেকে কাগজ ছিনিয়ে নিচ্ছেন, মহিলারা তান্ডব নৃত্য করছেন। ঘৃণায় মন ভরে যায়।''