আদানি ইস্যুতে সংসদে তৃতীয় দিনেও অচলাবস্থা! কেন প্রধানমন্ত্রী মোদী আলোচনা চান না, প্রশ্ন বিরোধীদের
আদানি ইস্যুতে জেপিসি গঠনের দাবিতে অনড় বিরোধীরা। অন্যদিকে সরকারও বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় রাজি নয়। বিরোধীরা বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন চুপ করে রয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
আদানি ইস্যুতে সংসদে পরপর তৃতীয় দিনেও অচলাবস্থা জারি। বিরোধীরা আদানি ইস্যুতে এদিন ফের যুগ্ম সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি করেন। যার জেরে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন দুপুর দুটো পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
মোদী সরকার আদানি ইস্যু থেকে পালিয়ে যাচ্ছে বলে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস।
|
নিশানায় নির্মলা সীতারমন
এদিন লোকসভায় বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে নিশানা করেন। কেননা এই নির্মলা সীতারমনই আদানি ইস্যুতে বিরোধীদের ভণ্ডামি করার অভিযোগ করেছিলেন। সংসদের অধিবেশন বসতেই বিরোধী সাংসদরা আদানি ইস্যুতে জেপিসি গঠনের দাবিতে স্লোগান দেন। সেই স্লোগানের মধ্যেই লোকসভার অধিবেশন দুপুর দুটো পর্যন্ত মুলতুবি করে দেন অধ্যক্ষ।
|
রাজ্যসভায় নোটিশ দিয়ে আলোচনার দাবি
কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খারগে বলেন, তারা নোটিশ দিয়ে আলোচনার দাবি করছেন। তারা চান এই বিষয়টি নিয়ে আগে আলোচনা হোক। তবে তারা রাষ্ট্রপতি ভাষণ নিয়ে কথা বলার জন্য তৈরি। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপরে আলোচনার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে খারগে প্রধানমন্ত্রী মোদী কাছ থেকে আদানি ইস্যুতে উত্তরে দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, সরকার চাইছে আদানি ইস্যুতে আলোচনা না করতে। কোনওভাবে তা এড়িয়ে যেতে চাইছে তারা। সরকার অনেক কিছু আড়াল করতে চাইলেও, তা সামনে চলে আসছে বলে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ কেসি ভেনুগোপাল।
|
কেন প্রধানমন্ত্রী মুখোমুখি হতে চান না
শুধু কংগ্রেসই নয়, অন্য বিরোধী সাংসদরাও প্রশ্ন করেন কেন আদানি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী মুখোমুখি হতে চান না? সরকার আদানি ইস্যুকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা। সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বম বলেন, তিনি এলআইসি এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের সভাপতি। আদানি ও আম্বানিদের লাভের উদ্দেশে এনআইসির অর্থ ব্যবহারের অভিযোগও তিনি করেন। এব্যাপারে এলআইসির সব ইউনিয়নের মতামত নেওয়ার দাবিও তিনি করেন।
|
বিরোধীদের বৈঠকের পরে সংসদের বাইরে বিক্ষোভ
এদিন সকালে সংসদের অধিবেশন বসার আগে বিরোধী দলের সাংসদরা সংসদ ভবনে সাংসদ তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগের ঘরে বৈঠক করেন। সেখানে কংগ্রেস ছাড়াও ছিলেন ডিএমকে, এনসিপি, বিআরএস, জেডিইউ, এসপি, সিপিএম, সিপিআই, কেরল কংগ্রেস, জেএমএম, আরএলডি, আরএসপি. আপ, আইইউএমএল, আরজেডি এবং শিবসেনার প্রতিনিধিরা। এরপর তারা সংসদের বাইরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান। তবে এদিন বৈঠকে তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি না থাকলেও বিক্ষোভে অংশ নেন শান্তনু সেন-সহ তৃণমূলের দুই সাংসদ।
শক্তিশালী ভূমিকম্পে আতঙ্ক তুরস্ক-সিরিয়ায়! কী পরিস্থিতি হয়েছিল, দেখুন ভিডিও