বাবা-মা ভোট দিলে ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় পাবে বাড়তি নম্বর!
কর্ণাটকের ইংরাজী মাধ্যম স্কুলগুলির ম্যানেজমেন্ট সংস্থা কেএএমএস প্রস্তাব দিয়েছে বাবা-মায়েরা ভোট দিয়েছেন এমন প্রমাণ স্কুলে দাখিল করতে পারলেই অতিরিক্ত চার নম্বর জুটে যাবে ছেলে-মেয়েদের।
পরীক্ষায় ছেলে মেয়ে যাতে ভাল নম্বর পান তার জন্য বাবা-মায়ের চেষ্টার অন্ত থাকে না। কিন্তু এবার সরাসরি সন্তানদের পরীক্ষার খাতায় নম্বর জোড়ার সূযোগ পাচ্ছেন অভিভাবকরা। বাবা-মা ভোট দিলেই সন্তানরা পরীক্ষায় পেয়ে যাবেন চার চারটি মূল্যবান নম্বর। নাগরিকদের ভোটদানে উৎসাহ দিতে এই ব্যবস্থাই নিয়েছে বেঙ্গালুরুর কয়েকটি প্রাইভেট স্কুল।
নাগরিকদের ভোটদানে সচেতন করতে, মতাধিকার প্রয়োগের পরিমান বাড়াতে নানান ব্যবস্থা নেন নির্বাচন কমিশন। এবারের কর্ণাটকের বিধানসভা ভোটেও তা দেখা যাচ্ছে। আর এব্যাপারে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে কর্ণাটকের ইংরাজী মাধ্যম স্কুলগুলির ম্যানেজমেন্ট সংস্থা কেএএমএস। বিধানসভা ভোট উপলক্ষ্য করে তারা প্রস্তাব দিয়েছে বাবা-মায়েরা ভোট দিয়েছেন এমন প্রমাণ স্কুলে দাখিল করতে পারলেই অতিরিক্ত চার নম্বর জুটে যাবে ছেলে-মেয়েদের।
এব্যাপারে কেএএমএস-এর সাধারণ সম্পাদক ডঃ শশী কুমার বলেন, 'আমরা পড়ুয়াদের ও তাদের বাবা-মাদের এই রেকর্ড রেখে দেব। পরবর্তীকালে ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের সময় তাদের ৪ নম্বর করে অতিরিক্ত দেওয়া হবে।' সেই মতো কয়েকটি স্কুল নির্দেশ দিয়েছে ভোট দিয়ে এসেই বাবা-মা'কে স্কুলে রিপোর্ট করতে হবে। বাকি স্কুলগুলিতে ভোটের পর স্কুল খুললে বাবা-মা'কে আঙুলে লাগানো ভোটের কালি দেখিয়ে যেতে হবে। আছে পার্ট বা আংশিক নম্বর পাওয়ার সুযোগও। কেএএমএস-এর প্রস্তাব অনুযায়ী বাবা-মা দুজনেই ভোট দিলে তবেই পুরো ৪ নম্বর মিলবে। আর যদি বাবা কিংবা মা একা ভোট দেন সেক্ষেত্রে আসবে ২ নম্বর।
তবে এটা বাধ্যতামূলক কিছু নয়, প্রস্তাব মাত্র। অনেক স্কুল সেই প্রস্তাব মেনেছে, অনেকে মানেওনি। বেঙ্গালুরুর নিউ ব্লসমস এডুকেশন সোসাইটি যেমন তাদের শিক্ষার্থীদের মিড-সেমিস্টার পরীক্ষায় ওই নম্বর দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে। আগে থেকেই নির্দেশ ছিল ভোটের দিনই বাবা-মায়ের ভোটদানের প্রমাণ দিতে হবে। সেই মতো এদিন সকাল থেকেই স্কুলের বাইরে বাবা-মায়েদের বিশাল লাইন দেখা গেছে। এই ছাড়াও, এই বাবা-মায়েদের নাম নিয়ে স্কুলে বিকেলে একটি লাকি ড্র-এর আয়োজন হবে। সেখানেও আকর্ষণীয় পুরষ্কার থাকছে।
তবে এই উদ্যোগ এই প্রথমবার নেওয়া হচ্ছে তা নয়। ২০০৯-এর নির্বাচনে এই উদ্যোগ শুরু হয়। তবে সেবার সামান্য কয়েকটি স্কুল অংশ নিয়েছিল। তারপর থেকে ক্রমে বিদ্যালয়ের সংখ্যাটা বেড়েছে।
ভোট কম পড়ে বলে বেঙ্গালুরুর কুখ্যাতি আছে। ২০১৩ সালে শহরের ভোটদানের হার ছিল ৫৭.৩৮ শতাংশ, রাজ্যের ছিল ৭১.৪৫ শতাংশ।