গুজরাত প্রশ্নপত্র ফাঁস: দশম শ্রেণির হিন্দি পেপার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল
গুজরাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে ফের উত্তাল হল পরিস্থতি। শনিবার গুজরাতে দশম শ্রেণির হিন্দি পেপার ফাঁস হয়ে যায়। এর ফলে ছাত্ররা পরীক্ষার হলের মধ্যে একই উত্তর লেখার চেষ্টা করছিল।
গুজরাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে ফের উত্তাল হল পরিস্থতি। শনিবার গুজরাতে দশম শ্রেণির হিন্দি পেপার ফাঁস হয়ে যায়। এর ফলে ছাত্ররা পরীক্ষার হলের মধ্যে একই উত্তর লেখার চেষ্টা করছিল। প্রশ্ন ও উত্তরের একটি সেট-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই ঘটনা। গুজরাত শিক্ষা বোর্ড এই পেপার ফাঁসের তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে।
মোদী-রাজ্যে ঘন ঘন পেপার ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু রাজ্যের বিজেপি সরকার সে অর্থে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এই মর্মে গুজরাতের শিক্ষামন্ত্রী জিতু ভাঘানির পদত্যাগ দাবি করছে বিরোধী দল কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি, "আগে শুধুমাত্র চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল, এখন দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষাগুলির প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে এই ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে বলে দাবি করে কংগ্রেস।
গুজরাত বোর্ড পরীক্ষার দশম শ্রেণির হিন্দি পেপার শনিবার অর্থাৎ ৯ এপ্রিল ফাঁস হয়েছিল পরীক্ষা চলাকালীন। হলের ভেতরে শিক্ষার্থীরা একই উত্তর লেখা একটি সেট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সরকার পক্ষ বাধ্য হয় এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসতে।
গুজরাত বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২০২২-এর ২৮ মার্চ থেকে। দশম শ্রেণির এই বোর্ড পরীক্ষা ১২ এপ্রিল শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। এই বছর গুজরাত বোর্ড পরীক্ষায় মোট ১৩.৯৮ লক্ষ ছাত্র পরীক্ষা দিচ্ছে। এর মধ্যে দশম শ্রেণির ৯.৭২ লক্ষ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ৪.২৬ লক্ষ ছাত্র ও ছাত্রী রয়েছে।
করোনাবিধি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কড়া বিধি-নিষেধ আরোপ করে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গুজরাত বোর্ড নির্দেশিকা জারি করে পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করে। পরীক্ষা কেন্দ্রে সকল শিক্ষার্থীর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ছিল। হ্যান্ড স্যানিটাইজারও সঙ্গে রাখা জরুরি ছিল। এছাড়াও, গুজরাত বোর্ড পরীক্ষা কেন্দ্রে কোভিড প্রোটোকল অনুসরণ করার ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষরে কড়া বিবৃতি দিয়েছিল।
এছাড়া পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশপত্র নিয়ে যাওয়া (গুজরাট বোর্ডের দেওয়া প্রবেশপত্র), পরীক্ষা শুরুর আধ ঘণ্টা আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো বাধ্যতামূলক করা- এমন নানাবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এবং সেইসঙ্গে কোনও ধরনের ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, যেমন-মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, টেপ রেকর্ডার বহন শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করা হবে বলে জানিয়েছিল বোর্ড। পরীক্ষার সময় এ জাতীয় যে কোনও জিনিস পাওয়া গেলে সেই পড়ুয়ার পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এত বিধিনিষেধের মধ্যেও ঘটে গেল প্রশ্নফাঁসের ঘটনা।