নয়া কৃষি আইন খারিজের প্রস্তাব পাস পাঞ্জাব বিধানসভায়, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত অমরিন্দর সরকারের
সবুজ বিপ্লব ঘটিয়েছিল যে রাজ্য। সেই রাজ্যই দেখিয়ে দিল কৃষকদের জন্য কতদূর যাওয়া যায়। পাঞ্জাব বিধানসভায় পাস হয়ে গেল মোদী সরকারের কৃষি আইন খারিজের প্রস্তাব। এই প্রথম কোনও রাজ্য কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এই চরম সিদ্ধান্ত নিল। আন্দোলনে লাভ হবে না বুঝতে পেরেই অমরিন্দর সরকারের এই চরম সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

পাঞ্জাব বিধানসভায় খারিজ কৃষি আইন
বিজেপি ছাড়া একমত ছিল বিরোধীরাও। অমরিন্দর সরকারের প্রস্তাবে সায় গিয়েছে প্রবল প্রতিপক্ষ শিরোমণি অকালি দল, আপ এবং লোক ইনসাফ পার্টি। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে পাঞ্জাব বিধানসভা এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কেবল মাত্র বিজেপির দুই বিধায়ক সেই আলোচনায় অংশ নেয়নি। দীর্ঘ আলোচনার পর মোদী সরকারের কৃষি আইন খারিজের প্রস্তাব পাস হয়ে যায় পাঞ্জাব বিধানসভায়।

কৃষি আইনের বিরোধিতা
পাঞ্জাবই প্রথম কৃষি আইনের বিরোধিতার সরব হয়েছি। রেল রোকো থেকে সড়ক অবরোধ, অবস্থান বিক্ষোভ কী করেননি পাঞ্জাবের কৃষকরা। এমনকী রাজ্যের শিল্পী এবং বিদ্দজনরাও কৃষি বিলের বিরোধিতা করে পথে নেমেিছলেন। গোটা দেশে বনধ পর্যন্ত ডেকেছিলেন পাঞ্জাবের কৃষকরা। গোটা দেশে তার প্রভাবও পড়েছিল।

হরসিমরত কউরের পদত্যাগ
মোদী সরকারের কৃষি বিলের বিরোধিতায় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন শিরোমণি অকালি দলের নেত্রী হরসীমরত কউর। কৃষকদের স্বার্থে শেষ পর্যন্ত এনডিএ জোট ত্যাগ করে করে শিরোমণি অকালি দল। চণ্ডীগড়ে কৃষকদের নিয়ে মহামিছিল করতে গিয়ে গ্রেফতার হন হরসিমরত কউর।

কড়া অমরিন্দর সরকার
এদিন মোদী সরকারের কৃষি আইন খারিজের প্রস্তাব পাস ছাড়াও চারটি বিল পাস করেছে পাঞ্জাব সরকার। তার মধ্যে অন্যতম ছিল সহায়ক মূল্যের েচয়ে কম দামে গম এবং ধান বিক্রি করলে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং মোটা টাকা জরিমানার সাজা কার্যকর করার প্রস্তাব দিয়েছেন বিধায়করা।

উৎসবে বাড়বে করোনা, আগেই পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার, বাড়ল হাসপাতালের কোভিড বেড