করোনা আতঙ্কের জের, এবার ছ’মাসের রেশন একলপ্তেই তোলা যাবে
ভারতে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে ১৫১ জন। মৃত্যুও হয়েছে ৩ জনের। সারা দেশজুড়েই চলছে অচলাবস্থা। আর্থিক মন্দার পাশাপাশি কালোবাজারি এবং রেশনে টান পড়ার আশঙ্কাও করছেন সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান৷ তিনি জানিয়েছেন, এবার থেকে রেশনে একসঙ্গে ৬ মাসের খাদ্যশস্য তোলা যাবে৷

একসঙ্গে ৬ মাসের খাদ্যশস্য তোলা যাবে
দেশের ৭৫ কোটি মানুষ গণবণ্টন পদ্ধতির আওতায় পড়েন। এবার থেকে চাইলে তাঁরা ৬ মাসের খাদ্যশস্য একসঙ্গে তুলে নিতে পারবেন। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারগুলির কাছেও নির্দেশ পাঠানো হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত দু'মাসের খাদ্যশস্য একবারে মজুত করার নিয়ম ছিল। তবে করোনা সতর্কতায় সেই মেয়াদ বাড়িয়ে ছ'মাস করা হয়েছে। বুধবার এই ঘোষণা করেছেন রামবিলাস পাসওয়ান।

সরকারের গুদামে রয়েছে খাদ্যশস্য
পাঞ্জাব সরকার আগেই এই নিয়ম চালু করেছিল। এবার সারা দেশেই চালু হবে নয়া নিয়ম। রামবিলাস পাসওয়ানের কথায়, সরকারের গুদামে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। তাই সমস্ত রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বলা হয়েছে গরিব মানুষ যেন রেশনে একবারে ৬ মাসের খাদ্যশস্য মজুত করতে পারেন সেদিকে নজর রাখতে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে আপাতত সরকারের গুদামে ৪৩৫ লক্ষ টন উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। যার মধ্যে ২৭২.১৯ লক্ষ টন চাল এবং ১৬২.৭৯ লক্ষ গম রয়েছে। পাসওয়ানের কথায়, আসন্ন এপ্রিল মাসের ক্ষেত্রে গণবন্টন ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন ১৩৫ লক্ষ টন চাল আর ৭৪.২ লক্ষ টন গম।

রেশন দোকানে ভিড় জমতে পারে
সরকারের এই ঘোষণার পরেই আচমকা রেশন দোকানে অতিরিক্ত ভিড় জমতে পারে। মানুষের মধ্যে যাতে অযথা আতঙ্ক তৈরি না হয় এবং পরিস্থিতি যাতে সুষ্ঠু ভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব হয় সেজন্য বিভিন্ন রাজ্যকে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুসারে দেশের প্রায় ৫০,০০০ রেশন দোকানে ৩ টাকা কিলো চাল, ২ টাকা কিলো গম এবং ১টাকা কিলো হিসেবে দানাশস্য (ভর্তুকিযুক্ত দাম) দেওয়া হয় গণবন্টন ব্যবস্থার আওতায় থাকা সকলকে। এই গোটা প্রকল্পের বার্ষিক খরচ প্রায় ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা।
করোনা ভাইরাস:হরিদ্বারে গঙ্গা আরতি দেখার অভিনব পন্থা! প্রশাসন নিল পদক্ষেপ