প্রতি কামরায় প্যানিক বোতাম, রাতের ট্রেনে মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে আর যা ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল
উত্তর পূর্ব রেলওয়ে নারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রাতের ট্রেনে মহিলা পুলিশ নিয়োগের পাশাপাশি প্রতি কামড়ায় প্যানিক বোতাম এবং সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
সারা দেশেই নারী নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। ব্যতিক্রম নয় ট্রেনও। তাই ট্রেনে মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে, উত্তর পূর্ব রেল (এনইআর) রাতের ট্রেনে মহিলা পুলিশ কর্মীদের নিযুক্ত করার কথা ভাবছে। এর পাশাপাশি প্রতিটি কোচে 'প্যানিক বোতাম' লাগানোর পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তর পূর্ব রেলের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় যাদব।
তিনি জানান, রেলওয়ের এই বছরের ফোকাস 'নারী ও শিশু নিরাপত্তা'। রাতের ট্রেন বিভিন্ন সময়ই একা ভ্রমণ করা মহিলাদের হেনস্থার শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাই রাতের ট্রেনে মহিলা পুলিশ কর্মীদের নিয়োগের কথা ভআবা হচ্ছে। এখন থেকে আরপিএফ বাহিনীতেও মহিলাদের নিয়োগ করা হবে। এছাড়া প্রতিটি কোচে যে 'প্যানিক বোতাম' লাগানোর কথা ভাবা হচ্ছে তা সরাসরি গার্ডের কোচের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। ফলে এই বোতাম একবার টিপলেই খবর চলে যাবে গার্ডের কাছে।
যাদব জানান, 'প্যানিক বোতামগুলি লাগানো হবে কামড়ার লাইটের সুইচ যেখানে থাকে ঠিক তার ওপরে। ফলে মহিলা যাত্রীরা সহজেই তার নাগাল পাবেন। বোতাম টিপলেই গার্ড বুঝতে পারবেন কোন কামড়ার কোথা থেকে তা টেপা হয়েছে। সেই মতো রেলকর্মীদের সেখানে দ্রুত পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।'
এখন পর্যন্ত, বিপদে পড়লে মহিলা যাত্রীদের হেল্পলাইনে ফোন করা বা এসএমএস করা অথবা চেইন-টানার ওপরই নির্ভর করতে হয়। যে ব্যবস্থাগুলি বিশেষ দ্রুত নয়। নয়া ব্যবস্থাগুলিতে দ্রুত কাজ হবে বলে রেলওয়ের আশা। এছাড়া নারী নিরাপত্তাজনিত আরও কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে রেলওয়ে। এর মধ্যে রয়েছে মহিলা কামড়াগুলি সহজে চেনার জন্য কামড়ার গায়ে আলাদা রঙ করা, মহিলা কামড়ার জানলাগলিতে তারের জাল লাগানো, শহরতলীর ট্রেনে মহিলা কামড়াগুলিতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানো, সম্ভব হলে সেই ক্যামেরার লাইভ ছবি প্ল্যাটফর্মগুলিতে পাঠানো এবং রেলওয়ে আইন সংশোধন করে নারী নির্যাতনের ঘটনায় শাস্তি বাড়ানো।