ফোকাসে প্যাংগং, গালওয়ানের পর লাদাখের আরও তিন জায়গায় পিছু হটল চিন!
লাদাখ নিয়ে ভারত-চিন বিবাদ কি তবে এখনকার মতো শান্ত হতে চলেছে? এমনই ইঙ্গিত মিলল, যখন গালওয়ানের পর লাদাখের আরও তিনটি জায়গা থেকে চুক্তিমতো সেনা প্রত্যাহার শুরু করল চিন। জানা গিয়েছে এলএসি-র হট স্প্রিং এলাকা থেকে পিছু হঠল লালফৌজ। একইভাবে ভারতীয় সেনাও পিছু হঠেছে। তবে প্যাংগংয়ে এখনও প্রচুর সেনা মোতায়েন রেখেছে চিন।
ডোভাল-বেজিং বৈঠক
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে চিনের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকের পরেই দুই দেশ সীমান্ত থেকে তিন দফায় সেনা সরানোর চুক্তি করে। সেই মতো কাজ হচ্ছে সীমান্তে। এদিকে আজ ফের বৈঠকে বসবেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ও অজিত ডোভাল। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গালওয়ান, গোগরা ও হট স্প্রিংস এলাকা থেকে প্রাথমিকভাবে বাড়তি সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷
হট স্প্রিং এলাকা হয়ে উঠেছিল সবচেয়ে উত্তেজনা প্রবণ
ভারত-চিন সীমান্তের লাদাখ উপত্যকায় হট স্প্রিং এলাকা হয়ে উঠেছিল সবচেয়ে উত্তেজনা প্রবণ। সেই এলাকা থেকেই সেনা সরাতে শুরু করল লালফৌজ। লাদাখের হটস্প্রিং এলাকা খালি করে দিয়েছে চিনা বাহিনী। অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে তারা। কথা রেখে ভারতীয় সেনাও। সেখান থেকে সেনা সরিয়ে আনা হয়েছে।
ভারতের তীক্ষ্ণ নজরদারি
তিন দফায় সেনা সরানোর প্রক্রিয়ার উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে ভারত। কোনও ভাবে যদি চিন সেই চুক্তি লঙ্ঘন করে তাহলে ভারতও থমকে যাবে। সেনা প্রত্যাহারের চুক্তি যাতে কোনও ভাবে লঙ্ঘন না করা হয় সেদিকে নজর রাখছে ভারতীয় সেনা। এর জন্য দিনের পাশাপাশি রাতেও বায়ুসেনার বিমান ও হেলিকপ্টর টহল দিচ্ছে লাদাখের সীমান্ত জুড়ে।
ফিঙ্গার এলাকা থেকেও সেনা সরানো শুরু করেছে চিন
এদিকে শেষ পর্যায়ে লাদাখ সীমান্তে ফিঙ্গার এলাকা থেকেও সেনা সরানো শুরু করেছে চিন। সেখানে অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে সেনা বল। ভারতও সেখানে সেনার সংখ্যা কমিয়েছে। গত ১৫ জুলাই এই এলাকাতেই ভারতীয় সেনার সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষ বাঁধে চিনা বাহিনীর।
লাদাখে ড্রাগন বাহিনীর আগ্রাসন রোখার চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে দক্ষিণ চিন সাগরে!