সুপ্রিমকোর্টের উপরও ভরসা, প্রশ্নের মুখে কমিটি! আরও তীব্র আন্দোলনের পথে কৃষকরা
নতুন কৃষি আইনের উপর গতকাল স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের জন্য চার সদস্যের কমিটিও গড়ে দিয়েছে তারা। আগামী দু'মাসের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা নয়া তিনটি কৃষি আইন বাতিল ছাড়া অন্য কিছুতে সন্তুষ্ট হবে না৷

কমিটিতে রয়েছেন কারা?
সুপ্রিম কোর্ট গঠিত কমিটিতে রয়েছেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (মান)-এর সভাপতি ভূপিন্দর সিং মান, কৃষি বিশেষজ্ঞ অশোক গুলাতি, ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের দক্ষিণ এশিয়ার ডিরেক্টর প্রমোদ যোশি, মহারাষ্ট্রের সেতকারি সংগঠনের প্রধান অনীল ঘানওয়াত।

কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানালেও কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। তাঁদের অভিযোগ, কমিটির চার সদস্যই নতুন কৃষি আইনের সমর্থক। তাঁরা ইতিমধ্যেই ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পাশ হওয়া কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করেছেন। তাঁরা সরাসরি বলছেন, এই কমিটির সঙ্গে তাঁরা আলোচনা করবেন না। কমিটির সদস্যদের নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরাও।

আইনের বিষয়ে সরকারের অবস্থানের পক্ষে কমিটি সদস্যরা
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়বীর শেরগিল বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তটি অর্ধেক পূর্ণ গ্লাস এবং অর্ধেক ফাঁকা গ্লাসের মতো- এই উপমার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। একদিকে যেমন বিজেপি সরকারের কৃষকবিরোধী ও স্বৈরাচারবিরোধী আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়, অন্যদিকে আদালত গঠিত কমিটিতে এমন সদস্য রয়েছে যারা তিনটি আইনের বিষয়ে সরকারের অবস্থানের পক্ষে রয়েছেন।'

কিষাণ অধিকার দিবস
শনিবার কংগ্রেস ঘোষণা করেছে, আগামী ১৫ জানুয়ারি দেশজুড়ে 'কিষাণ অধিকার দিবস' পালন করা হবে৷ সব রাজ্য়ে রাজভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবে কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ এ নিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা জানান, সোনিয়া গান্ধী কৃষকদের সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ এমনকি দিল্লিতে কংগ্রেস পার্টি অফিসে কিষাণ অধিকার দিবস কর্মসূচি পালন করা হবে৷ প্রসঙ্গত, আজ সুপ্রিম কোর্ট বিতর্কিত এই কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ জারি করেছে ৷ আর একটি কমিটি গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷