পল্লবী পুরকায়স্থ হত্যাকাণ্ড : আবাসনের রক্ষীকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত, মৃত্যুদণ্ডের দাবি বাবার
পল্লবী পুরকায়স্থর বাবা অতনু পুরকায়স্থ কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের যুগ্মসচিব। অতনুবাবুর দাবি, একটা খুন করে ওই ব্যক্তি দুটি পরিবারকে একেবারে শেষ করে দিয়েছে। মৃত্যুদণ্ডই ওর পাপের একমাত্র সাজা। একই সুর পল্লবীর মায়ের গলাতেও। তিনি বলেন, "পল্লবী আমাদের কাছে সব ছিল। ওর জীবনের এই পরিণতি দেখে মা-বাবা হিসাবে আমরা আর কী চাইতে পারি। আমরা শুধু দোষীর মৃত্যুদণ্ড চাই।"
পল্লবী ২৫ বছরের এক তরুণ আইনজীবী ছিলেন। একইসঙ্গে জাতীয় স্তরের সাঁতারুও ছিলেন। ২০১২ সালের ৯ আগস্ট মধ্য মুম্বইয়ের ওডালার এক আবাসনের ১৬ তলায় তাঁর নিজের ফ্ল্যাটে খুন করা হয় পল্লবীকে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ আবাসনের রক্ষী সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে। আবাসনের ওই রক্ষী পল্লবীকে ধাওয়া করেছিল। আক্রমণ করে খুনও করে বলে জানায় পুলিশ।
৯ আগস্টের দিন, ইচ্ছাকৃতভাবে পল্লবীর ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সাজ্জাদ। সে জানত, সাহায্যের জন্য পল্লবী তাকে ডাকবেই। ডাক আসতেই বিদ্যুৎকর্মীকে নিয়ে পল্লবীর বাড়িতে ঢোকে এবং সেখান থেকে বাড়ির চাবি চুরি করে নেয় সাজ্জাদ। ওইদিন রাতেই পল্লবী যখন ঘুমোচ্ছিল সাজ্জাদ সেখানে গুটি গুটি পায়ে প্রবেশ করে। পল্লবীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় সাজিদ। কিন্তু সাহসী পল্লবীর রোধের মুখে পড়েন নিজের মনোস্কামনা পূরণে অসফল হয় সাজ্জাদ। আর সেই আক্রোশেই পল্লবীকে ছুড়ি দিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় সে।
পল্লবীর বাগদত্ত অভীক সেনগুপ্ত প্রথম তাঁর মৃতদেহটি রক্তের মাখামাখি অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। গত বছর নভেম্বরেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা যান অভীকবাবু। এই ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন তিনি। অভীকবাবুর ঘণিষ্ঠ সূত্রের খবর পল্লবীর মৃত্যুর পর থেকেই তিনি মানসিকভাবে প্রচণ্ড ভেঙে পড়েছিলেন।