কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ব্রহ্মস মিসাইল বসাচ্ছে ভারত, অভিযোগ পাকিস্তানের
তিন দিন আগেই সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত বলেছিলেন যে পাকিস্তানের লাগাতার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনের জেরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উত্তেজনা বাড়ছে। এরই মাঝে ভারতের তরফে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ব্রহ্মস মিসাইল বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করল পাকিস্তান। এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে অভইযোগ জানিয়েছেন পাকিস্তানি বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। অবশ্য এই অভিযোগ স্বীকার বা অস্বীকার কোনওটাই করেনি ভারতীয় সেনা।
পাকিস্তানের অভিযোগ, 'জানুয়ারি থেকে এই বছরে এখনও পর্যন্ত নাকি ভারত ৩০০০ বার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে। এর জেরে পাকিস্তানের তরফে আক্রান্ত হয়েছে ৩০০-রও বেশি সাধআরণ মানুষ। গত কয়েকদিন ধরে নাকি ভারতীয় সেনা কাশ্মীরের পাঁচটি সেক্টরের ফেন্সিং সরিয়ে দিচ্ছে এব তাদের আশঙ্কা যে কোনও রকম যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত।'
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই ভারতের ব্রহ্মোস সুপারসোনিক ক্রুজ মিসাইলের উৎক্ষেপণ সফল হয়। পশ্চিমবঙ্গের কলাইকুন্ডা বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে মিসাইলটি নিয়ে পাড়ি দেয় সুখোই বিমানটি। তারপর ওড়িশা উপকূলের কাছে সমুদ্রের উপর মাঝ আকাশে নির্ধারিত লক্ষ্যের দিকে ছোঁড়া হয় মিসাইলটি। ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যে নিখুঁত আঘাত হানতে সক্ষম হয়।
ভারতীয় বায়ুসেনা ২০১৭ এর ২২ নভেম্বর বিশ্বে প্রথম সেনাবাহিনী হিসাবে ২.৮ মার্ক সার্ফেস অ্যাটাক মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করেছিল। এর মাঝেই ভারতের বায়ুসেনার শক্তি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র।
চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বরই আরব সাগরের বুকে মিডিয়াম রেঞ্জের সুপার সনিক ক্রুজ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ হয়। এই মিসাইল স্থলভাগ থেকে কিংবা জাহাজের পাশাপাশি উড়োজাহাজ থেকেও শত্রুপক্ষকে ধ্বংস করার জন্য ছোঁড়া যাবে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই এই মিসাইলেই প্রপালশন সিস্টেম, এয়ারফ্রেম, পাওয়ার সাপ্লাই সহ নানা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যোগ করা হয়েছিল। সে বার এই মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ হয়েছিল ওড়িশার চাঁদিপুরে।