ফটোফিচার: কাশ্মীরে ভারত বিরোধী টিভি চ্যানেল রমরমিয়ে চলছে, উঠছে অভিযোগ
একদিকে যখন অসান্ত কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে নেমে ক্রমাগত , জঙ্গিদের হামলার শিকার হচ্ছেন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা, তখনই গোটা কাশ্মীর জুড়ে রমরমিয়ে চলছে ভারতবিরোধী বেশ কিছু পাকিস্তানি টিভি চ্যানেল।
শ্রীনগর, ৫ মে : একদিকে যখন অসান্ত কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে নেমে ক্রমাগত , জঙ্গিদের হামলার শিকার হচ্ছেন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা, তখনই গোটা কাশ্মীর জুড়ে রমরমিয়ে চলছে ভারতবিরোধী বেশ কিছু পাকিস্তানি টিভি চ্যানেল। অভিযোগ যার প্রভাব পড়ছে কাশ্মীরের জনজীবনে।
উল্লেখ্য, এই সমস্ত পাকিস্তানি চ্যানেলগুলিকে লাইসেন্সই দেয়নি ভারত সরকার। তাহলে কীভাবে তা প্রদর্শন হচ্ছে। কারণ ভারত সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অনুমোদন ছাড়া ভারতের কোথাও কোনও টিভি চ্যানেলের সম্পচার আইনত নিষিদ্ধ। ফলে প্রশ্ন উঠছে, উপত্যকার প্রশাসনিক পরিকাঠামো নিয়েও।
ভারতের মাটিতে ভারত বিরোধী চ্যানেল
জানা গিয়েছে,কাশ্মীরের একটা বিশাল অংশে সৌদি আরব ও পাকিস্তানের বেশ কিছু চ্যানেলের সম্প্রচার চলছে, যে চ্যানেলগুলিকে লাইসেন্সই দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। উপত্যকায় অনেকেরই অভিযোগ , এই ধরনের চ্যানেলের সম্প্রচার চলায়, তার কুপ্রভাব পড়ছে গোটা কাশ্মীরের নতুন প্রজন্মের ওপর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠছে বহু প্রশ্নও।
সম্প্রচারিত হচ্ছে বিতর্কিত 'পিস' টিভিও
জাকির নায়েকের বিতর্কিত চ্য়ানেল 'পিস টিভি'ও কাশ্মীরের বহু গৃহস্থে ঢুকে পড়েছে, স্থানীয় 'কেবল' সংযোগের মাধ্যমে। পিস টিভির উর্দু ও ইংরাজি মাধ্যম দু ধরনের টিভি চ্যানেলই সম্প্রচরিত হচ্ছে বলে উঠে এসেছে, এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে।
কী বার্তা দিচ্ছে চ্যানেলগুলি?
মূলত এই সমস্ত ভারত বিরোধী চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে কাশ্মারের 'স্বাধীনতা' -এর সমর্থনে বার্তা। এই সমস্ত চ্যানেগুলির মধ্যে রয়েছে কয়েকটি বিতর্কিত টিভি চ্যানেলও। ক্রমাগত এই সমস্ত টেলিভিশন চ্যানেলে ভারত বিরোধী স্লোগান দেওয়া হচ্ছে।
কেন নেওয়া হচ্ছে না উপযুক্ত ব্যবস্থা?
কাশ্মীরে বিজেপি-পিডিপি এর সংগঠিত রাজ্য সরকারের নাকের ডগা দিয়ে চলছে এই চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার। জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন সরকারি দফতর ও ভবনে, স্থানীয় 'কেবল 'সংযোগেও দেখানো হচ্ছে এই সমস্ত রাষ্ট্রবিরোধী চ্যানেল। কিন্তু সরকার এবিষয়ে কোনও ব্যবস্থা কেন নিচ্ছে না , তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
রমরমিয়ে উঠছে স্থানীয় 'কেবল' অপরেটরদের ব্যবসা
উল্লেখ্য কাশ্মীরের মাটিতে টাটা স্কাই, ডিশ টিভির মতো 'কেবল' নেটওয়ার্কগুলি থাকা সত্ত্বেও বেশিরভাগ গ্রাহক এই ধরণের স্থানীয় 'কেবল' সংযোগকেই পছন্দ করছেন। যার ফলে শ্রীনগরের স্থানীয় 'কেবল অপরেটর' এই সমস্ত চ্যানেল সম্প্রচার করছে বলে অভিযোগ।