এফএটিএ-র হুঁশিয়ারির পর জঙ্গি দমন নিয়ে চাপে আছে পাকিস্তান, দাবি সেনা প্রধানের
আর উপায় নেই জঙ্গি দমনে এবার কড়া পদক্ষেপ করতেই হবে পাকিস্তানকে। নইলে আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা এফএটিএ তাকে কালো তালিকা ভুক্ত করবে। সেই নিয়ে রীতিমতো চাপে রয়েছে পাকিস্তান। শুক্রবার এমনই দাবি করেছেন ভারতের সেনা প্রধান বিপিন রাওয়ত।

এফএটিএর হুঁশিয়ারি
জঙ্গি দমনে কড়া পদক্ষেপ করছে না পাকিস্তান। সেটা নজর এড়ায়নি ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সে। তাই সাময়িক ভাবে সতর্ক করে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রেখেছে এই সংস্থা। চার মাসের মধ্যে জঙ্গি দমনে কড়া পদক্ষেপ না করলে সংস্থা পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত পাকিস্তানকে সময় দেওয়া হয়েছে। এমনকী সন্ত্রাসের মদতে আর্থিক সাহায্য একেবারে নির্মুল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে।

উভয় সংকটে পাকিস্তান
আমেরিকা সফরে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান স্বীকার করে নিয়েছিলেন তাঁর দেশে এই মুহূর্তে ৪০টি জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। তাই নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। গোটা বিশ্ব পাকিস্তানের সন্ত্রাসে মদত নিয়ে আঙুল তুলেছিল। তার সঙ্গে চাপ বেড়েছিল ইমরানের। রীতিমত উভয় সঙ্কটে রয়েছেন ইমরান খান। কালো তালিকা ভুক্ত হওয়া রুখতে ইমরানকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। নইলে আন্তর্জাতিক মহলের কোনও আর্থিক সাহায্য পাকিস্তান পাবে না। অন্যদিকে জঙ্গি দমন নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে গেলে নিজের দেশেই কোনঠাসা হতে হবে ইমরানকে। দেশের মধ্যেই রাজনৈতিক চাপ বাড়বে পাক প্রধানমন্ত্রীর উপর।

সেনা প্রধানের দাবি
ভারতের সেনা প্রধান বিপিন রাওয়ত এফএটিএ-এর এই সিদ্ধান্তে সুদিনের ইঙ্গিত দেখছেন। তিনি দাবি করেছেন, অর্থনৈতিক দিক থেকে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তান এফএটিএ-র হুঁশিয়ারি না মানলে চরম সংকটে পড়বে। তার হাত থেকে বাঁচতে হলে ইমরানকে জঙ্গি মদতে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করতে হবে। এতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে ভারত। কারণ পাকিস্তান থেকে অর্থ সাহায্য বন্ধ হয়ে গেলে ভারতের জঙ্গিদেরও হাতটান পড়বে। জঙ্গি কার্যকলাপ অনেকটাই কমবে ভারতে।
এফএটিএর দেওয়া চার মাস সময়ই এখন পাকিস্তানের চরম পরীক্ষার সময় বলে দাবি করেছেন ভারতের সেনা প্রধান বিপিন রাওয়ত।