সিন্ধু জল চুক্তি ভাঙলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ভারতকে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের
সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে এবার আসরে নেমে পড়ল পাকিস্তান। চুক্তির খেলাপ করলে ফল ভুগতে হবে ভারতকে, এমনটাই আজ নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামাবাদ।
ইসলামাবাদ, ২০ অক্টোবর : সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে এবার আসরে নেমে পড়ল পাকিস্তান। চুক্তির খেলাপ করলে ফল ভুগতে হবে ভারতকে, এমনটাই আজ নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামাবাদ। ['সিন্ধু জল চুক্তি' দিয়ে পাকিস্তানকে চাপ ব্যুমেরাং হতে পারে ভারতের!]
পাকিস্তানের তরফে বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র নাফিস জাকারিয়া জানান, ভারত চুক্তির খেলাপ করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভারত কোনওভাবেই ৫৬ বছর পুরনো চুক্তি লঙ্ঘন করতে পারে না, এমনটাই মত পাকিস্তানের। [চিন ব্রহ্মপুত্রের জল আটকালে সমস্যায় পড়তে পারে ভারত!]
ঘটনা হল, ১৯৬০ সালে জল বণ্টন সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয় ভারত ও পাকিস্তান সরকারের মধ্যে। এটি 'সিন্ধু জল চুক্তি' নামে পরিচিত। সেইসময়ে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় দুই প্রতিবেশী দেশ জল নিয়ে মধ্যস্থতায় পৌঁছনোর চেষ্টা করেছিল।
করাচিতে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আয়ুব খানের মধ্যে ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, পূর্বের তিনটি নদী বিপাশা, ইরাবতী ও শতদ্রুর অধিকার থাকবে ভারতের কাছে। অন্যদিকে পশ্চিমের তিনটি নদী সিন্ধু, চেনাব ও ঝিলমের অধিকার থাকবে পাকিস্তানের।
তবে চুক্তি থেকে পিছিয়ে আসা যাবে না, এমন কথা কোথাও বলা হয়নি। আর যেখানে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ সহ সমস্ত বিষয়ে ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করে চলেছে সেখানে সিন্ধু চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে এলে আন্তর্জাতিক মহলে ভারতেরও বলার জায়গা থাকবে, এবং সেই শর্তে পাকিস্তানের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদকে উৎখাত করা যাবে, এমনটাই মত নয়াদিল্লির।
তবে সেসব কিছুই মানতে রাজি নয় পাকিস্তান। উল্টে কাশ্মীরে মানবাধিকার বিচ্ছিন্ন বলে রব তুলেছে পাকিস্তান। পাক বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য, পাকিস্তান কাশ্মীরে ভারতের অত্যাচারের কথা সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরছে। আর সেজন্য তা থেকে বিশ্ববাসীর মুখ ঘোরাতে চাইছে ভারত।
শুধু তাই নয়, ভারতও সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি ৯০ বার লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি পাকিস্তানের। এছাড়া পাকিস্তানি শিল্পীদের প্রতি ভারতের আচরণ ও সার্কের মঞ্চে ভারতের পদক্ষেপ রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়া ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নাফিস জাকারিয়া।